বহুল আলোচিত আলাস্কা বৈঠকে মুখোমুখি হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর জন্য বৈঠক ঘিরে ব্যাপক প্রত্যাশা থাকলেও কোনও যুদ্ধবিরতি বা শান্তি চুক্তি হয়নি। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠক শেষে দুই নেতা দাবি করেছেন, কিছু অগ্রগতি হয়েছে তবে তা এখনও প্রাথমিক স্তরে সীমাবদ্ধ।
বৈঠকের পর ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, এখন আলোচনার বাস্তবায়ন নির্ভর করছে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ওপর। তিনি বলেন, “পুতিন এবং জেলেনস্কি চাইলে আমি পরবর্তী বৈঠকে অংশ নিতে প্রস্তুত।” ইউরোপীয় দেশগুলোকেও এই প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
পুতিন বলেন, দীর্ঘ সময় পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা হওয়াটাই বড় অগ্রগতি। তিনি ইঙ্গিত দেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্গঠনের জন্য এই আলোচনার দরজা খোলা।
এদিকে, বৈঠকের প্রতিক্রিয়ায় জেলেনস্কি সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, এই সামিট ইউক্রেন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনার নতুন পথ খুলতে পারে। তবে তিনি পরিষ্কার করে জানান, শান্তি অবশ্যই “ন্যায়সঙ্গত” হতে হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈঠকটি পুতিনের জন্য বড় কূটনৈতিক স্বস্তি। ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর পশ্চিমা বিশ্বের কাছে যিনি অনেকটা একঘরে হয়ে পড়েছিলেন, তাঁর জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসা একটি রাজনৈতিক সাফল্য।
তবে সমালোচকরা মনে করছেন, ট্রাম্প বৈঠকের আগে যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি দিলেও আলোচনার পর কোনও বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা দেননি। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে বা অন্তত যুদ্ধবিরতি কার্যকরে স্পষ্ট কোনও সমঝোতার আভাস মেলেনি।
রয়টার্স, এপি ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈঠক থেকে শান্তি প্রক্রিয়ার সরাসরি কোনও ফলাফল আসেনি, তবে এটি ভবিষ্যতের সম্ভাব্য ত্রিপাক্ষিক আলোচনার জন্য একটি ক্ষেত্র তৈরি করেছে।
এফপি/রাজ