Dhaka, Tuesday | 12 August 2025
         
English Edition
   
Epaper | Tuesday | 12 August 2025 | English
অপ্রয়োজনীয় টেস্ট ও রিপোর্ট দেখানো ফি— অমানবিক প্রথা বন্ধ হোক!
রংপুরে দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা সুস্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন: আসক
ভোট চুরির প্রতিবাদ মিছিল থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা আটক
আট উপদেষ্টার ‘দুর্নীতির’ অভিযোগ নিয়ে তোলপাড়, এখন কী হবে
শিরোনাম:

জোয়ারে প্লাবিত প্রাথমিক বিদ্যালয়, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ১১:৩৭ পিএম  (ভিজিটর : ১৭)

সুন্দরবনের উপকূলে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে খাউলিয়া ইউনিয়নে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাসে দু’বার স্কুল মাঠ ও শ্রেণিকক্ষ প্লাবিত হচ্ছে। জোয়ার এলেই আতংকে দুই শতাধিক শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয় অভিভাবকদের দাবি স্কুল টু-সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণের।

জানা গেছে, উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের ১২৫নং পূর্ব খাউলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৩৫ সালে স্থাপিত হলেও পরবর্তী ২০০০ সালে একতলা ৪ কক্ষ বিশিষ্ট নির্মিত হয় স্কুল ভবন। এক রুমে অফিসিয়াল কার্যক্রম, বাকি ৩টি কক্ষে পাঠদান চলে আসছে। মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ১৫৪ জন। প্রধান শিক্ষক সহ ৫ সহকারি শিক্ষক রয়েছে।

সোমবার দুপুর ২টা স্কুলের চারপাসে পানি থৈ থৈ করছে। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকরা দিচ্ছেন পাঠদান। কোমলমতি এ শিক্ষার্থীদের চোখে মুখে আতংকের ছাপ। কখন যেনো শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করবে পানি। স্কুল ভবনটি বাহির থেকে রং দিয়ে চক চক করলে লবণাক্ততায় কারণে নাজুক হয়ে পড়েছে। অনেক স্থান থেকে খসে পড়ছে পলেস্তরা।

আবির হোসেন, হাফিজা আক্তার, মিম আক্তার, তানভির হোসেনসহ একাধিক শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের স্কুলে জোয়ারের পানিতে মাসে এ রকম ২ বার পানি ওঠে। খেলাধুলা, পিটি করতে পারছি না।

বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক উজ্জল কুমার রায় বলেন, নদীর তীরবর্তী স্কুল হলেও এখন বেড়িবাঁধের কাজ চলছে। জোয়ারের পানি প্রবেশের কারণে মাসে ২ বার পানিতে নিমজ্জিত থাকে। এখানে সরকারিভাবে মাঠ ভরাট ও ভবন নির্মাণের দাবি জানান।

প্রধান শিক্ষক মো. কামরুল আহসান বাবলু বলেন, পূর্ব খাউলিয়া বিদ্যালয়টি অত্যন্ত পুরাতন স্কুল, ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা অনেক বেশী। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বন্যা কবলিত নদীর তীবরর্তী মানুষের আশ্রয়ের জন্য নিকটবর্তী কোন সাইক্লোন শেল্টারও নেই। এ বিদ্যালয়টিতে সাইক্লোন টু-স্কুল ভবন নির্মাণ হলে এ সমস্যা আর থাকবে না।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার আতিকুর রহমান জুয়েল বলেন, এ উপজেলায় ৩০৯টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১০টি বিদ্যালয়ে এখনও টিনশেড ঘর রয়েছে। নতুন ভবনের জন্য ওই বিদ্যালয়গুলোর জন্য একটি তালিকা পাঠানো হয়েছে। মাঠ ভরাটের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে একটি তালিকা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। তারপরেও যদি কোন বিদ্যালয় তালিকায় বাদ পড়ে থাকে পরবর্তীতে নির্দেশনা অনুযায়ী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, যেসব বিদ্যালয়ের ভবনগুলো ব্যবহারে অনুপযোগী ইতোমধ্যে তালিকা করে অধিপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও ১৩ টি স্কুল-টু সাইক্লোন শেল্টার নতুন ভবনের কাজ চলমান রয়েছে।

এফপি/রাজ
সর্বশেষ সংবাদ  
সর্বাধিক পঠিত  
YOU MAY ALSO LIKE  
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Editorial, News and Commercial Offices: Akram Tower, 15/5, Bijoynagar (9th Floor), Ramna, Dhaka-1000
Call: 01713-180024, 01675-383357 & 01840-000044
E-mail: news@thefinancialpostbd.com, ad@thefinancialpostbd.com, hr@thefinancialpostbd.com
🔝