ঢাকায় বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো রজনী খাতুনের (৩২) মৃত্যুর খবরে শোকে স্তব্ধ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের বাওট গ্রাম।
আজ (২২ জুলাই) মঙ্গলবার ভোরে নিহত রজনীর মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে পরিবার-পরিজন ও গ্রামবাসীর আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ। কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহতের মা, ভাইবোন ও প্রতিবেশীরা।
নিহত রজনী খাতুন ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আবদুল হামিদের মেয়ে এবং কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার সাজিপুর গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জোহরুল ইসলামের স্ত্রী। ঢাকায় কর্মরত স্বামী জোহরুল ইসলামের সঙ্গে উত্তরার একটি বাসায় বসবাস করতেন রজনী খাতুন। তাদের একমাত্র মেয়ে ঝুমঝুম খাতুন (১২) ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ঘটনার দিন, প্রতিদিনের মতো মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিলেন রজনী খাতুন। এ সময় হঠাৎ একটি প্রশিক্ষণ বিমান তাদের সামনে বিধ্বস্ত হলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি। মেয়ে ঝুমঝুম খাতুন গুরুতর আহত হলেও সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বর্তমানে সে পরিবারের সঙ্গে রয়েছে।
এই অকাল মৃত্যুর ঘটনায় বাওট গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। প্রতিবেশীরা জানান, রজনী ছিলেন অত্যন্ত স্নেহশীলা ও সদালাপী একজন নারী। তার এমন মর্মান্তিক মৃত্যু এলাকাবাসীর হৃদয়ে গভীর দাগ কেটে গেছে।
এফপি/রাজ