রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বিমানটির পাইলটসহ কমপক্ষে ১৯ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে এবং জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটসহ অন্যান্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে অন্তত ১৬৪ জনকে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, তাদের কর্মীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে ১৯ জনের লাশ উদ্ধার করেছে। অর্ধশতাধিক আহত ও দগ্ধকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আহতদের দেখতে আসেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টা প্রেস সচিব শফিকুল আলম প্রমুখ।
এ ঘটনায় আহত আরও শতাধিক শিক্ষার্থীকে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল ও জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, “এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক এসেছে। সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। তাদের মধ্যে একজন মৃত। দগ্ধদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।”
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, উদ্ধারকাজে সহায়তায় হেলিকপ্টার, সেনাবাহিনী ও দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। শতাধিক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে।
রাজধানীর তেজগাঁও পুরোনো বিমানবন্দর থেকে বিমানটি উড্ডয়নের পর পরই দুপুর ১টা ৬ মিনিটের দিকে উত্তরার মাইলস্টোনে স্কুল এন্ড কলেজের হায়দার আলী ভবনের ওপর বিমানটি আছড়ে পড়ে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিছুক্ষণের মধ্যে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সেখানে গিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেন।
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক শোক বার্তায় তা জানানো হয়েছে। একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানটিতে মাঝ আকাশে আগুন ধরে গেলে রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাডেমিক ভবনে আছড়ে পড়ে। সেখানে স্কুলের শিক্ষার্থীদের ক্লাস চলছিল।
এফপি/এমআই