বর্ষার প্রায় শেষ। তবুও খাল-বিল, পুকুর-ডোবা-নালা কিংবা নিচু জমিতে পানি না থাকায় চিরিরবন্দরে চাষিদের কেটে রাখা স্তুপকৃত পাট জমির কোনায় রাস্তার ধারেই শুকিয়ে খড়ি হয়ে যাচ্ছে। ফলে আবাদের পাট এখন কৃষকের গলার কাটা হয়েছে দাঁড়িয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার ৫৪৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। পাটচাষে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৫০ হেক্টর। এরমধ্যে রয়েছে দেশি ১৭ হেক্টর এবং তোষা চাষ হয়েছে ৫২৮ হেক্টর জমিতে।
সরেজমিন দেখা গেছে, কৃষকের চাষকৃত এসব পাট ধুয়ে ঘরে তুলতে পারেননি অনেক কৃষক। তারা চলতি বর্ষা মৌসুমে একদিকে পানির অভাবে খানিকটা সময় অতিবাহিত হতে থাকায় পাট কেটে সেচ দিয়ে আমন চারা রোপন করেন। অপরদিকে তাদের কাটা পাট জমির কোণে, উঁচু জমিতে এবং রাস্তার ধারে স্তুপ করে রাখেন। এরই মধ্যে খাল-বিল, পুকুর-ডোবা-নালা কিংবা নিচু জমিতে পাট জাগ দেয়ার মত পানি না থাকায় তাদের স্তুপ করে রাখা পাট শুকিয়ে খড়ি হয়ে গেছে। অনেকে আবার সামান্য পানি বন্দি ডোবায় কলাগাছ, মাটির বস্তা পাট জাকের উপর দিয়ে কোন রকম পাট পচানোর চেষ্টা করছে। এ অবস্থায় পাট নিয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা।
গছাহার গ্রামের পাটচাষী এমদাদুল হক জানান, আমি ২ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। এর মধ্যে এক বিঘা জমির পাট কেটে রেখেছি জাক দিতে পারিনি এবং আরো এক বিঘার পাটগাছ এখনও দাঁড়িয়ে আছে। ওই এলাকার কাল্টু, ফয়জার রহমান, আব্দুস সামাদসহ অনেকে জানান, এ বছর পাটের আবাদ ভাল হয়েছে। পাট কেটে স্তুপ করে রেখেছি। কিন্তু খাল-বিল, পুকুর-ডোবা-নালা আর নিচু জমিতে পর্যাপ্ত পানির অভাবে জাক দিতে পারছি না। পাটের স্তুপ রোদে শুকে যাচ্ছে। পাট নিয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়েছি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুমি আক্তার বলেন, এটা সাময়িক সমস্যা। তবে পানি না থাকলে বিকল্প হিসেবে কৃষকের খরচ বাঁচাতে রিবোন রেটিং পদ্ধতিতে পাটের আঁশ সংগ্রহ করা যায়।
এফপি/রাজ