দেশের সামগ্রীক উন্নয়নে, সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বতীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
রবিবার (২০ জুলাই) বেলা ১২টায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ফলদ-বনজ চারা, গবাদি পশু, সেলাইমেশিন এবং প্রসুতি মহিলা ও নবজাতক শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আর্থিক অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, যেকোন জায়গা বা দেশ উন্নয়নের জন্য সামাজিক শান্তিশৃঙ্খলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জাতিগত ও প্রকৃতিগত ভাবে আমাদের এই অঞ্চল বৈচিত্র ময়। এই বৈচিত্রকে যাথে শক্তিতে রুপান্তর করতে পারি সে জন্য এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি নিয়ে সরকার আন্তরিক ভাবে কাজ করেছে। দীর্ঘ ২৭ বছরের সমস্যাটির সমাধান কিছুটা সময় স্বাপেক্ষ। তবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এই অঞ্চলটি পিছিয়ে রয়েছে। এই অঞ্চলটি সামগ্রীক উন্নয়ন করতে গেলে অত্র এলাকার শিক্ষা ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। ফলে শিক্ষা ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন সাধন করতে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, আগে কন্সট্রাকশন বরাদ্ধ দেয়া হত সব থেকে বেশি। যার কারণে জেলার সামগ্রীক উন্নয়ন ১৫ শতাংশতে নেমেছে। এর থেকে উত্তোরণ হতে বর্তমান সময়ে কন্সট্রাকশন খাতে শুধু মাত্র ২০ শতাংশ বরাদ্ধ রেখে ৬০ শতাংশ বরাদ্ধ জেলার শিক্ষা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে বরাদ্ধ দেয়া হবে। অপর ২০ শতাংশ স্বাস্থ্য ও অন্যান্য খাতে ব্যয় করা হবে বলে জানান তিনি।
এসময় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই এর সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, গেস্ট অব অনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি, জেলা পুলিশ সুপার মো.শহীদুল্লাহ কাওসার প্রমূখ।
পরে জেলার কৃষক ও নারীদের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ফলদ-বনজ চারা,গবাদি পশু, সেলাইমেশিন এবং পশু প্রসুতি মহিলা ও নবজাতক শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ৪৮২ জনের মধ্যে আর্থিক অনুদান বিতরণ করা হয়।
এফপি/রাজ