খুলনার মহানগরীর দৌলতপুরের সাবেক যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান মোল্লা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার রায়হান এবং আসিফ মোল্লাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার তাদের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। কিন্তু শুক্রবার সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।
গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে রায়হান এবং আসিফ মোল্লা হত্যাকান্ডের সাবেক যুবদল নেতা হত্যাকান্ডের ব্যাপারে কোন তথ্য পুলিশকে দেয়নি। এ মামলায় এ দু’জনসহ মোট চারজন গ্রেপ্তার হয়েছে।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মীর আতাহার আলী বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে খুলনার পার্শবর্তী জেলা সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মহিলা কলেজ এলাকার বাসিন্দা আ: বারির বাড়ি থেকে কাজী রায়হান এবং পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি বাজার থেকে আসিফ মোল্লা কে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা উভয়ে দৌলতপুর থানা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী হুমায়ুন কবির হুমা বাহিনীর সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে তেলীগাতি এলাকার আরিফ মেম্বার হত্যার অভিযোগ রয়েছে। এ হত্যা মামলায় আসিফ এবং রায়হান দীর্ঘদিন কারগারে ছিল। তিনি আরও বলেন, দৌলতপুর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি হত্যাকান্ডের ১৪ দিন আগে ওই দু’জন কারাগার থেকে বের হয়। কিন্তু তাদের গুরু হুমা জামিনে মুক্ত হননি।
ঘটনাস্থলের সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করে যে তিনজনের ছবি পাওয়া গিয়েছিল তাদের মাঝখানে ছিল কাজী রায়হান। যুবদলের সাবেক নেতা মাহবুব হত্যাকান্ডের পর দিন কাজী রায়হান পরিবারসহ সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার মহিলা কলেজের পাশে আ: বারির বাড়ি ভাড়া নেয়। পুলিশ উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে কাজী রায়হানের অবস্থান নিশ্চিত করে তাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক পাইকগাছা উপজেলার থেকে ডিবি এবং দৌলতপুর থানার যৌথ অভিযানে আসিফ মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা দু'জনই সুটার।
তিনি বলেন, তাদের দু’জনের রিমান্ড চেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু শুক্রবার সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাদের রিমান্ডে চেয়েও পাওয়া যায়নি। রোববার আদালতে শুনানি হতে পারে। রিমান্ডে নিলে হত্যাকান্ডের সকল তথ্য পুলিশের হাতে চলে আসবে।
এফপি/রাজ