বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি আসার পর থেকেই নারীদের ক্রিকেটের উন্নয়নে বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে মাঠে গড়াবে নারী বিপিএলের প্রথম আসর। এই প্রতিযোগিতাটি নারী ক্রিকেটের ক্ষেত্রে নতুন দ্বার উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রথম আসরটি তিনটি দল নিয়ে আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। নারী বিভাগের প্রধান হাবিবুল বাশার জানিয়েছেন, তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ফরচুন বরিশাল, রংপুর রাইডার্স এবং ঢাকা ক্যাপিটাল খেলার ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছে। এছাড়া চতুর্থ দলের জন্য আলোচনা চলছে, তবে চূড়ান্ত না হলে তিন দল নিয়েই টুর্নামেন্ট শুরু হবে।
প্রতি দলে ১৫ জন করে ক্রিকেটার থাকবে। এছাড়া নীতিমালায় একজন বিদেশি ক্রিকেটার খেলার সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে এই বিদেশি খেলোয়াড়দের মান কেমন হবে, সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিসিবি ক্রিকেটারদের পাঁচটি ক্যাটেগরিতে ভাগ করেছে। আইকন ক্রিকেটারের পারিশ্রমিক ধরা হয়েছে ৫ লাখ টাকা। এ ক্যাটেগরির বেতন ধরা হয়েছে ৪ লাখ টাকা, বি ক্যাটেগরির বেতন ধরা হয়েছে ৩ লাখ টাকা, সি ক্যাটেগরির বেতন ধরা হয়েছে ২ লাখ টাকা, ডি ক্যাটেগরির বেতন ধরা হয়েছে ১ লাখ টাকা।
প্রতি দলে একজন আইকন ক্রিকেটার রাখা হবে। এ-ক্যাটেগরিতে থাকবেন দুইজন, বি-ক্যাটেগরিতে দুইজন, সি-ক্যাটেগরিতে তিনজন এবং ডি-ক্যাটেগরিতে চারজন খেলোয়াড়।
হাবিবুল বাশার আরও জানান, আমরা চেষ্টা করছি এমনভাবে পরিকল্পনা করতে যাতে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের ওপর বেশি চাপ না পড়ে। মোট ৩২-৩৩ লাখ টাকার মধ্যে খেলোয়াড়দের সম্মানী রাখা হবে। টুর্নামেন্টের মোট বাজেট ৫০ লাখ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করছি।
নারীদের বিপিএল চালু হওয়ায় দেশের নারী ক্রিকেটারদের জন্য এটি হবে দারুণ সুযোগ। পাশাপাশি তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়রা নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণের মঞ্চ পাবে। আশা করা হচ্ছে, এই টুর্নামেন্টটি নারীদের ক্রিকেটকে আরও জনপ্রিয় ও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে।
এফপি/এমআই