চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শরীফুজ্জামান শরীফকে সামনে রেখে আলমডাঙ্গায় অনুষ্ঠিত হলো তৃণমূল নেতা-কর্মীদের এক মহাসমাবেশ।
রোববার বিকেলে আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গসহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়ন-ওয়ার্ডের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতি প্রমাণ করেছে—নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি এখন মাঠে পুরোপুরি ঐক্যবদ্ধ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আখতার হোসেন জোয়ার্দার। সঞ্চালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন। কুরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা ইদ্রিস আলী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, এই কলেজ মাঠের দৃশ্যই বলে দিচ্ছে—চুয়াডাঙ্গায় ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার শুরু হয়ে গেছে। আমি এসেছি শুধু ভোট চাইতে নয়, এসেছি তারেক রহমানের মুক্তির বার্তা দিতে এবং আপনাদের জীবনে পরিবর্তনের শপথ নিতে।
তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে কড়া নির্দেশনা দিয়ে বলেন, উৎসাহ থাকবে, তবে কোনোভাবেই নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করা যাবে না। প্রতিটি বিধি জানুন, প্রতিটি বিধি মানুন—বিজয় আনতে হবে নিয়মতান্ত্রিক পথে।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে ইউনিয়ন ঘুরে ঘরোয়া বৈঠকে কর্মীদের সঙ্গে বারবার কথা বলতে হয়েছে। মনোনয়ন পাওয়ার পর এটাই প্রথম সভা। আজ ১২ হাজার নেতাকর্মীর পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। আগে জেলা কৃষকদল থেকে শুরু করে অনেক সংগঠনের পরিচয় অস্পষ্ট ছিল—আজ প্রতিটি ইউনিয়নে সব অঙ্গসংগঠনের নেতৃত্ব দৃশ্যমান।
মাঠ পর্যায়ের বাস্তবতা তুলে ধরে শরীফ বলেন, ভাংবাড়িয়া, বাড়াদি, জেহালা ও নাগদাহ ইউনিয়নে চমৎকার সংগঠনগত প্রস্তুতি আছে। কিন্তু বাকি ১১টি ইউনিয়ন মাঠে নেই—ব্যস্ত ব্যক্তিগত কাজে, আড্ডায়। এখন থেকে সব ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ড বন্ধ—শুরু হবে শুধু নির্বাচনী কাজ।
তিনি কর্মীদের প্রতি দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে বলেন, আপনাদের রাজনীতি করেন ২–৩ শতাংশ মানুষ। কিন্তু বাকি ৯৭ শতাংশ মানুষের ভোট এনে দিতে হবে। প্রতিটি বিপক্ষ ভোটকে সম্ভাব্য সমর্থকে রূপান্তর করুন। যে একটি ভোটও নিশ্চিত করতে পারবেন, সেই রাতের ঘুমই বদলে দেবে আপনাদের মনোবল।
বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের ৩১ দফার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ৩১ দফাই আপনাদের মুক্তির সংবিধান। কৃষক-শ্রমিক-নারী-ব্যবসায়ী—সবার মুক্তি নিশ্চিত হবে এই রূপরেখা বাস্তবায়নে। ঘরে ঘরে ৩১ দফার বার্তা পৌঁছে দিন।
সভায় বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম পিটু, পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিন্টু, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টুসহ মহিলা দল, যুবদল, ছাত্রদল, কৃষকদল, ওলামাদল ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এ ছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা পর্যায়ের শতাধিক নেতা সভায় বক্তব্য রাখেন। মাঠজুড়ে উপস্থিত ছিলেন হাজারো নেতা-কর্মী।
এফপি/অ