ঝিনাইদহ জেলার ৬টি উপজেলায় গত এক বছরে আত্মহত্যা করেছেন ৩৬১ জন মানুষ। এর মধ্যে নারীদের সংখ্যাই বেশি। আত্মহত্যার প্রধান কারণ হিসেবে পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহ, আর্থিক সংকট ও ঋণগ্রস্থতাজনিত হতাশাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আত্মহত্যার ৬২ শতাংশ ঘটনা এসব কারণেই ঘটে থাকে বলে একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে।
বুধবার বিকেলে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আত্মহত্যা প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত এক কর্মশালায় এ পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল এবং সঞ্চালনায় ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. মো. কামরুজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক রথীন্দ্র নাথ রায়, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান, সহকারী কমিশনার এসএম শাদমান উল আলম, প্রেসক্লাব সভাপতি আসিফ কাজল এবং রিপোর্টার্স ইউনিট সভাপতি এম এ কবীর।
কর্মশালায় জেলা প্রশাসক বলেন, “আত্মহত্যা প্রতিরোধে শুধু আইন নয়, দরকার ব্যাপক জনসচেতনতা। স্কুল পর্যায়ে ক্যাম্পেইন চালানো, ধর্মীয় উপসানালয়ে প্রচার চালানো, পারিবারিক বন্ধন জোরদার করাসহ শিক্ষা ও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, আত্মহত্যার মতো সামাজিক বিপর্যয় রোধে মাদক ও অপরাধপ্রবণতা নিয়ন্ত্রণও জরুরি। উল্লেখ্য, জেলার মধ্যে সদর উপজেলা আত্মহত্যার সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে, যা বিশেষ উদ্বেগের বিষয় বলে মত প্রকাশ করেন আলোচকরা।
এফপি/রাজ