‘জামায়াত-শিবির রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়] এই শ্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহর। সারা দেশে ক্রমাগত আইনশৃঙ্খলার অবনতি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, মসজিদ ও রাস্তায় প্রকাশ্যে মানুষ হত্যাসহ নৈরাজ্য এবং বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশালীন মন্তব্য ও কুৎসা রটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনসমূহের উদ্যোগে সুন্দরগঞ্জ সরকারি ডি ডব্লিউ ডিগ্রি কলেজ মাঠে এ কর্মসূচি পালিত হয়। সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্বাধীনতা চত্বরে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ প্রায় ৫ সহস্রাধিক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। পুরো শহরজুড়ে মুখর ছিল ‘জামায়াত-শিবির রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’, ‘স্বৈরাচার গেছে দিল্লি, রাজাকার যাবে পিন্ডি’, ‘জামায়াত-শিবিরের আস্তানা, এই বাংলায় হবে না’ প্রভৃতি শ্লোগান।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক বাবুল আহমেদ, সদস্য সচিব মাহমুদুল ইসলাম প্রামানিক, পৌর বিএনপির আহবায়ক ইখতিয়ার উদ্দিন ভূঁইয়া নিপনসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বক্তারা বলেন, ‘বর্তমান সরকার জনগণের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। দেশের বিভিন্ন স্থানে খুন-গুম, চাঁদাবাজি, মসজিদে হত্যাকাণ্ডসহ ভয়াবহ নৈরাজ্য চলছে। অথচ বিএনপিকে কোণঠাসা করতে নেতাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’
তারা আরও বলেন, ‘দেশে কিছু গুপ্ত সংগঠন গোপন তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে, যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বিএনপির ঘাড়ে দোষ চাপাতে চায়। এসব চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র অতীতে যেমন ব্যর্থ হয়েছে, ভবিষ্যতেও ব্যর্থ হবে।’
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কটূক্তির নিন্দা জানিয়ে বক্তারা বলেন, ‘তারেক রহমানের ১৭ বছরের সংগ্রামে দেশে গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি তৈরি হয়েছে। যারা তাকে নিয়ে কুৎসা রটায়, তাদের জবাব দেওয়া হবে রাজপথেই।’
বক্তারা সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আন্দোলনের মাধ্যমেই জনগণের হারানো অধিকার পুনরুদ্ধার করতে হবে।’
এফপি/রাজ