মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই যুবককে হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখমের অভিযোগ উঠেছে।
হামলায় আহত ওই দুই যুবক হলেন উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের পুরান বাউশিয়া গ্রামের নীল কুটিপাড়া মহল্লার মৃত কামাল মিয়ার ছেলে সবুজ(২৪) ও একই উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামের সুরুজ প্রধানের ছেলে সুজন প্রধান(২৭)। তাদের মধ্যে সবুজের অবস্থা গুরুতর। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার দুপুরে আহত সবুজ সিকদারের বড় ভাই জলিল সিকদার ৬জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে অজ্ঞাত ১৪ থেকে ১৫ জনের বিরুদ্ধে গজারিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে গেল মঙ্গলবার আনুমানিক রাত ৮টার দিকে উপজেলার ভিটিকান্দি এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন সুপারস্টার নামক একটি ইলেকট্রিক্যাল কোম্পানির প্রধান ফটকের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতদের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, নয়াকান্দি গ্রামের সুজন প্রধান গত ১৪ জুলাই সোমবার সন্ধ্যায় তার দেড় বছর বয়সী অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। এসময় ভাড়া নিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশার অজ্ঞাত ওই চালকের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ওই দিন বিষয়টি কয়েকজন পথচারীর মাধ্যমে ঘটনাটি সমাধান করা হয়।
ওই ঘটনার পরের দিন গেল মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে সুজন প্রধান কোম্পানি ডিউটি শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় কোম্পানির মূল ফটকের সামনে অজ্ঞাত ওই চালকের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন যুবক দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার পথ রোধ করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
বিষয়টি দূর থেকে সুজনের বন্ধু সবুজ দেখে এগিয়ে এসে গালিগালাজ না করতে বলেন তাদের। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে সুজন ও তার বন্ধু সবুজ চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের হাঁতুড়ি, চাপাতি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে এবং ধারালো চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে তারা। এ সময় তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন সেখানে পৌঁছালে হামলাকারীরা খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ সময় স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাদের মধ্যে সবুজকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওই দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আহত সুজন প্রধান স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, সিএনজি চালক ও হামলাকারীদের নাম পরিচয় তিনি জানেন না। তবে তাদের মধ্যে কয়েজনকে চিনতে পেরেছেন। তারা আনারপুরা গ্রামের বাসিন্দা বলে জানান তিনি।
বিষয়টি নিয়ে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আনোয়ার আলম আজাদ জানান, খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এফপি/রাজ