পিরোজপুরের নেছারাবাদে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে সুমাইয়া (১৬) নামে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার আরামকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ খবর পেয়ে নেছারাবাদ হাসপাতাল থেকে লাশ থানায় নিয়ে গেছে।
সুমাইয়া (১৬) আরামকাঠি গ্রামের মো: কবির হোসেনের মেয়ে। তার পিতা গ্রামে একটি খাবার হোটেলের ব্যবসা করে। সে এবছর উপজেলার আকলম মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগ থেকে এস,এস,সি পরীক্ষা দিয়েছিল। সুমাইয়া তার একমাত্র সন্তান হওয়ায় মেয়েকে হারিয়ে পিতা মাতা উভয় শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছেন।
শিক্ষার্থীর সুমাইয়ার চাচা মো: সাইফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার দুপুরে তার বাবা জুমার নামাজ পড়তে যায়। তার মা নাসিমা বেগম বাড়ীর পাশে নিজেদের দোকানে কাজ করছিল। কিছু সময় পর তার মা বাসায় গিয়ে দেখে দরজা লাগানো। দরজার ফাক দিয়ে দেখেন তার মেয়ে ঘরের মধ্য ঝুলে আছে। ডাক চিৎকার দিলে সবাই ছুটে এসে সুমাইয়ার অচেতন দেহ নেছারাবাদ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সুমাইয়ার মা নাসিমা বেগম বলেন, সুমাইয়া ছাড়া আমাদের কোন সন্তান নেই। সে এস,এস,সি পরীক্ষায় এক পেপারে ফেল করে মন খারাপ করে ঘরে চুপ ছিল। আমি সহ তার বাবা ওকে অনেক বুজিয়ে মনবল শক্ত করার চেষ্টা করেছি। পরীক্ষায় ফেল করে শুক্রবার ঘরের মধ্য আমার স্বামীর গামছা গলায় পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
সুমাইয়ার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আলমগীর হোসেন জানান, মেয়েটি খুবই ভদ্র ছিল। দুর্ভাগ্যবশত এসএসসি পরীক্ষায় এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়ে আবেগে আত্মহত্যা করেছে।
নেছারাবাদ থানার অফিসার ইন চার্জ জানান, মো: বনি আমীন জানান, শুনেছি পরীক্ষায় ফেল করে আত্মহত্যা করেছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। লাশ পোস্টমার্টেমের জন্য ব্যবস্থা চলছে।
এফপি/রাজ