পিরোজপুরে এ বছর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় দুইটি বিদ্যালয়ের পাস করেনি কোনো শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয় এবং প্রকাশিত ফলাফলে এ তথ্য জানা যায়।
বিদ্যালয় দুটি হলো পিরোজপুর সদর উপজেলার জুজখোলা সম্মিলিত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং ভান্ডারিয়া উপজেলার মধ্য চড়াইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
জানা যায়, প্রতিষ্ঠান দুটি এমপিও ভুক্ত হবার পরেও এবং ১০ জন শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও তাদের অবহেলায় থমকে গেছে পড়া লেখার মান।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিষ্ঠানের প্রতি শিক্ষা কর্মকর্তাদের কোনো তদারকি নেই। তাই প্রতিবছরের ন্য চলতি বছরে এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ করলেও কোন শিক্ষার্থী পাস করেনি বলে জানা গেছে। এ দুটি স্কুলের রয়েছে শিক্ষক-স্বল্পতা শিক্ষার্থী স্বল্পতা। কয়েকজন শিক্ষক থাকলেও তাদের উপস্থিতি অনেক কম। তেমন কোন নজরদারি নেই বিদ্যালয় দুটির শিক্ষকদের। দায়সারা ভাবে স্কুল পরিচালনা করার কারণে এমনটি ঘটেছে স্থানীয়দের।
সদর উপজেলার জুজখোলা সম্মিলনী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম হালদার এ বিষয়ে জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে এবারে ১২ জনের রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করেছিলাম। তার মধ্যে ৫ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং সবাই ফেল করেছে। আমাদের সকল ছাত্রী বিবাহিত হওয়ায় ঠিকমত ক্লাসে আসেনি। তাই লেখাপড়া করতে পারেনি একারনেই সম্ভবত এমন হয়েছে।
ভান্ডারিয়া উপজেলার মধ্য চড়াইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন জানান, এ বছরে আমাদের স্কুল থেকে ৭ জন রেজিস্ট্রেশন করেছিল। এর মধ্যে ৪ জন নিয়মিত এবং ১ জন অনিয়মিত ভাবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। গ্রাম পর্যায়ের স্কুল হওয়ায় সকলে নিয়মিত ক্লাস করে না। এরা বাসায় ও ঠিকমত পড়াশুনা করে না। যার ফলে কেউ উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইদ্রিস আলী আযিযী বলেন, এ বিষয়ে আমরা কাছে এখনো কোন তথ্য নাই। খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবো।
এফপি/রাজ