মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার চরমহেশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জীবন কুমার বিশ্বাসের স্বেচ্ছাচারিতায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের চিঠি উপেক্ষিত হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তরে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
যশোর শিক্ষা বোর্ড কতৃক মনোনীত এডহক কমিটির সভাপতি জিনাত সুলতানা জানান, চরমহেশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড বিগত ০৩-০৬-২৫ খ্রী. তারিখে বিঅ/৬/৭০৯২/৩৭.১১.৪০৪১.৫০১.০১.৬.২০.২২৩৪১ স্মারকে বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. মো. কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এডহক কমিটিতে আমাকে সভাপতি মনোনীত করেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক জীবন কুমার বিশ্বাস বিভিন্ন অজুহাতে আমাকে সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তরে গড়িমসি করছেন। এমনকি আদেশ জারীর প্রায় দেড়মাস অতিবাহিত হলেও প্রধান শিক্ষক এডহক কমিটির কোন সভায় আহ্বান করেননি।
তবে বিগত আমলে প্রধান শিক্ষক তার পছন্দের লোকজন নিয়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে উক্ত প্রতিষ্ঠানে লাখ লাখ টাকার নিয়োগ বানিজ্য করেছেন। এবারে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কায় তিনি সভাপতি দায়িত্ব হস্তান্তরে গড়িমসি করছেন। যা একজন প্রধান শিক্ষক হয়ে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক জারীকৃত প্রজ্ঞাপনের প্রতি বৃদ্ধাঅঙ্গুলি প্রদর্শনের সমতুল্য।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জীবন কুমার বিশ্বাস, গত ২ জুলাই বুধবার সভা আহ্বান করলেও জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতাদের হস্তক্ষেপে পদসভা করতে পারিনি। তারা এ সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব নিয়েছেন। আশা করছি তারা খুব দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান করবেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল গণি জানান, যেহেতু শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক সভাপতিকে মনোনীত করা হয়েছে সেহেতু প্রধান শিক্ষক নিজ দায়িত্বে সভা আহ্বান করবেন। কিন্তু তিনি তা করছেন না। বিষয়টি আমার গোচরে আসার পর আমি প্রধান শিক্ষককে ডেকে সভার আহ্বান করতে বললে তিনি তা না করে রাজনৈতিক নেতাদের দোহাই দিচ্ছেন, যা সরকারি বিধির পরিপন্থী।
এফপি/এমআই