কক্সবাজারের চকরিয়ায় যাত্রীবাহী হানিফ বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে দুজন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় সাতজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত পৌঁনে ১২টার দিকে উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের গয়ালমারা এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত ২জন হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মো. আব্দুস সালামের ছেলে মো. ফারুক ও নোয়াখালী সুতারান এলাকার আশরাফুল হকের ছেলে শেখ এনাম (২২)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হানিফ পরিবহনের বাসটি চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের গয়ালমারা এলাকায় পৌঁছালে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে বাসের কিছু অংশ খাদে ডুবে যায়। এ সময় হতাহতের ঘটনা ঘটে। রাত ১২টার দিকে দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজে অংশ নেয় চিরিংগা হাইওয়ে থানা-পুলিশ, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও চকরিয়া থানা-পুলিশ। রাত আড়াইটার দিকে বাসটি ক্রেন দিয়ে খাদ থেকে তোলা হয়। এ সময় এক যুবকের লাশ বাসের জানালায় ঝুলে থাকতে দেখা যায়। আরেক যাত্রীর লাশ বাসটির নিচে চাপা পড়ে ছিল। বাসটিতে চালক-সহকারীসহ ৪০ জন ছিলেন বলে যাত্রীরা জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, বৃষ্টির কারণে পিচ্ছিল হয়ে পড়া সড়কে দ্রুতগতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় বাসটি।
জানতে চাইলে দুর্ঘটনাপতিত বাসটির যাত্রী কাজী সোহেল নামের এক ব্যক্তি বলেন, তিনি মাতারবাড়ী কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে চাকরি করেন। চট্টগ্রাম থেকে চকরিয়া পর্যন্ত টিকিট কেটেছিলেন। চট্টগ্রাম থেকে চুনতি পর্যন্ত বাসটি ধীরগতিতে চলে। এ কারণে যাত্রীদের সঙ্গে চালকের কথা-কাটাকাটিও হয়। তবে চুনতি পার হওয়ার পর হঠাৎ দ্রুতগতিতে চালাচ্ছিলেন চালক। একপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় বাসটি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল আমিন বলেন, নিহত দুজনের লাশ হাইওয়ে থানায় রয়েছে। বাসটিও উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিক স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে গেছেন।
এফপি/রাজ