পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় অতিরিক্ত জোয়ারের চাপে কঁচা ও বলেশ্বর নদীর কালাইয়া গ্রামের বেড়িবাঁধ ভেঙে ও বিভিন্ন পয়েন্টের ভাঙ্গা বেরিবাঁধ থেকে পানি ঢুকে পড়েছে নিম্নাঞ্চলে। ফলে বালিপাড়া এলাকার বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চলসহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বসতি প্লাবিত হয়েছে। এতে কয়েক হাজার বাসিন্দা ভোগান্তিতে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, টানা বর্ষণ ও জোয়ারের তীব্র স্রোতের কারণে কঁচা ও বলেশ্বর নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে চরখালী-টগড়া ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে যাওয়ায় পিরোজপুর-মঠবাড়িয়া-ভান্ডারিয়া-পাথরঘাটা রুটে ফেরি চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া জোয়ারের পানিতে ইন্দুরকানী আবাসন এলাকা, ইন্দুরকানী-কালাইয়া সড়কসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক তলিয়ে গেছে। পানিতে ডুবে গেছে কালাইয়া, সাঈদখালী, ঢেপসাবুনিয়া, চরবলেশ্বর, কলারন, চণ্ডিপুর ও খোলপটুয়া গ্রামের বহু বসতবাড়ি।
চরবলেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা মনির মিয়া বলেন , জোয়ারের পানি মাত্রা অতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় গ্রামের অধিকাংশ ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। কাঁচা ঘরগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শিক্ষক আব্দুল আলিম জানান, অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধ না থাকায় আমাদের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এলাকার সবাই আতঙ্কে রয়েছে পানি বেশি বৃদ্ধি পেলে বাড়িঘর পুরোপুরি তলিয়ে যাবে।
চণ্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান মঞ্জু বলেন, আমার এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মানুষের জানমাল রক্ষায় দ্রুত টেকসই বাঁধ নির্মাণ প্রয়োজন। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাইছি।
এ বিষয়ে ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান-বিন মোহাম্মদ আলী জানান, বালিপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে। তারা দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এফপি/রাজ