জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে আহত মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার দরিবিলা গ্রামের আহত সোহেল রানার মামলায় বিএনপির একাংশের নেতা-কর্মী ও শিক্ষক, ডাক্তার, ব্যবসায়ীসহ নিরীহ ব্যক্তিদের নাম থাকার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা।
রবিবার (২২ জুন) দুপুরে মাগুরা প্রেসক্লাবের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ভুক্তভোগী জয়নাল হোসেন টোটন, সোহাগ মন্ডল, উত্তম অধিকারী ও পরিমল ডাক্তার জানান, মামলার বাদী সোহেল রানাকে আমরা চিনিও না। আর যে মামলায় আমাদের আসামি করা হয়েছে এ ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকার মোহাম্মদপুরে।
উত্তম অধিকারী জানান, আমাকে বিভিন্ন সময়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক মাসুদ মজুমদার নানা কারণে টাকা চেয়ে আসছিলো। আমি তাকে টাকা না দেওয়ায় আমাকে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে।
আরেক ভুক্তভোগী পরিমল ডাক্তার জানান, আমরা চারজনে শ্রীপুরে সার্জিকাল ক্লিনিক নামে একটি ক্লিনিক চালাতাম। একপর্যায়ে একজন অংশীদার তার অংশ বিক্রি করে চলে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি আবার ফিরে এসে মালিকানা দাবি করে। তিনি তার অযৌক্তিক দাবি না মানায় মাসুদ মজুমদার ১৫ লাখ টাকা চায়। সেই টাকা না দেওয়ায় এই মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। আমি তার বিচার দাবি করছি।
এ মামলার বাদী সোহেল রানা গত বৃহস্পতিবার জেলা বিএনপির আহবায়ক আলী আহমেদের কাছে ভিডিও বক্তব্য দেন। সেখানে সোহেল রানা এ মামলায় আসামিদের নাম দেননি বলে জানান। ফেসবুকসহ নানা সামাজিক যোগাযোগ মাদ্যমে তার এ বক্তব্য ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে জেলা কমিটি মাসুদ মজুমদারেকে দল থেকে বহিষ্কার করে।
সংবাদ সমেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আশরাফুল আলম জোয়ারদার ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আব্বাস উদ্দিন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মাগুরা প্রেস ক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিকসহ শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে এই মামলার ২৮ জন আসামী ও বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে মাসুদ মজুমদার জানান, আমার রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিপক্ষ আমার জনপ্রিয়তায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে সোহেল রানাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এসব করাচ্ছে।
এফপি/এমআই