ধনকুবের ইলন মাস্কের জন্য ওভাল অফিসে এক ‘গ্র্যান্ড বিদায় অনুষ্ঠানের’ আয়োজন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার (৩০ মে) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর মাধ্যমে সরকারের ব্যয় নির্বাহক হিসেবে মাস্কের রাজত্বের অবসান ঘটছে।
শনিবার (৩১ মে) বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তথাকথিত ‘সরকার দক্ষতা বিভাগ’ (ডিওডিজই) থেকে মাত্র চার মাসের মধ্যে বিদায় নেন মাস্ক। তার বিদায়ের বিষয়ে ইতিবাচক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করতে উভয়ই স্থানীয় সময় শুক্রবার দেড়টায় একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প বৃহস্পতিবার মাস্কের ‘চমৎকার’ প্রশংসা করে জোর দিয়ে বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী টেক টাইকুন তার স্পেসএক্স ও টেসলা কোম্পানিতে ফিরে যাওয়া সত্ত্বেও তার প্রভাব অব্যাহত থাকবে।
ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল নেটওয়ার্কে বলেছেন, ‘এটি তার শেষ দিন হবে, কিন্তু বাস্তবে নয়। কারণ, তিনি সর্বদা আমাদের সঙ্গে থাকবেন, সর্বাত্মক সাহায্য করবেন।’
ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি মাস্ক নিউজম্যাক্সের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মাস্কের “অবিশ্বাস্য কাজের প্রশংসা করে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, ‘সরকারের দক্ষতা বিভাগে’ তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।”
মাস্কের ভূমিকার প্রতি ট্রাম্পের প্রকাশ্যে অনুমোদন দেওয়ার পরও মাস্ক এখন ট্রাম্প প্রশাসনকে অন্ধকারের আড়ালে রেখে যাচ্ছেন।
ট্রাম্প ওভাল অফিসে বসেই বেশ কিছু নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। তিনি ফেডারেল সরকারের মাধ্যমে তাণ্ডব চালিয়েছেন। যার কারণে হাজার হাজার তরুণদের চাকরি চলে যায়। যা মার্কিনিরা সহজে মেনে নিতে পারেননি, যেমন পারেননি ট্রাম্পের উপদেষ্টা ইলন মাস্কও।
মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি)সহ সমগ্র বিভাগগুলোকেও বন্ধ করে দিয়েছেন ট্রাম্প। যার ফলে বিদেশি সাহায্যে বিশাল কাটছাঁট করা হয়েছে।
সমালোচকরা বলেছেন, এটি বিশ্বের কিছু দরিদ্রতম মানুষকে আঘাত করবে এবং মার্কিন প্রতিদ্বন্দ্বীদের উৎসাহিত করবে।
এফপি/এমআই