কোরবানির ঈদ ঘিরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় হাটে বেড়েছে পশুর সরবরাহ। পশু বিক্রেতারা হাটে পর্যাপ্ত গরু নিয়ে এলেও বৃষ্টির জন্য ক্রেতা উপস্থিতি কম, ফলে জমে এখনো ওঠেনি বেচাকেনা।
শেষ বাজারে ভারতীয় গরু না এলে ভালো ব্যবসার আশা পশু ব্যবসায়ীদের। ঈদকে সামনে রেখে লাভের আশায় হাটে গরু নিয়ে ভিড় করছেন পশু পালনকারীরা। কিন্তু গত ৪ দিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি জন্য ক্রেতা স্বল্পতায় এখনও জমে ওঠেনি বেচাকেনা। হাটে বৃষ্টির কাঁদায় হাটার জো নেই।
উপজেলায় সবচেয়ে বড় গরু বেচাকেনার হাট মওলাগনজ (বড় বাজার) বাজার। আজ রবিবার ১ জুন বাজারে গিয়ে দেখা যায় , গরু উঠেছে অনেক। কিন্তু বিক্রি করার মত ক্রেতা এখনও পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। তবে ঈদ যত এগিয়ে আসবে হাটে ক্রেতা তত উপস্থিতি বাড়বে।
ব্যবসা ভালো হবে বলে আশা পশু ব্যবসায়ী ও হাট ইজারাদের। উপজেলায় দশদোনা গ্রামের গরু বিক্রেতা শাহজাহান বলেন, এবার ঈদে বিক্রি করার জন্য ৪টি গরু পালন করে ছিলাম। ১টি বাজারে নিয়ে এসেছি কিন্তু লোকজন নাই। এ বাজারে যে রকম ভিড় হয় , সেরকম এখনো জমে ওঠেনি। ৪ লাখ টাকার গরু মূল্য হাকায় ৩ লাখ টাকা।
হাটের হাট ইজারাদের প্রতিনিধি মতিউর রহমান জালু ও ছালে মুছা সকাল ১১টায় বলেন, দেশি এবং স্থানীয় খামারিদের গরু দিয়ে আমাদের হাট চলে। আমরা আশা করছি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতারা এ হাটে আসবে। উপজেলায় প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বলেন, এ উপজেলায় চাহিদার তুলনায় পশু পর্যাপ্ত আছে।
আশেপাশের এলাকা থেকেও ব্যবসায়ীরা অন্য জেলা ও উপজেলা থেকে অনেক গরু হাটে নিয়ে আসে। তবে প্রাকৃতিকভাবে স্থানীয় গবাদিপশু লালন-পালন করায় দেশি গরুর চাহিদা বেশি থাকে।
এফপি/রাজ