কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার কান্দাইল খিদিরপুর এলাকায় মালিকানাধীন জমিতে জোড়পূর্বক বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে আব্দুস সাত্তার গংদের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় বাসিন্দা মামুন অভিযোগ করে বলেন, তার মালিকানাধীন ভূমির ওপর প্রতিপক্ষ আঃ সাত্তার ও তার সহযোগীরা বিদ্যুৎ বিভাগের খুঁটি স্থাপন করে ঈটভাটার ব্যবসা করতে ইচ্ছাকৃতভাবে বিরোধ সৃষ্টি করছে। মামুনকে হয়রানি করতে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা চুরির মামলাসহ বিভিন্ন হয়রানি ও ষড়যন্ত্র করে চলছে বলেও মামুন অভিযোগ করেন।
গত রোববার মামুন কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপারের কাছে দায়ের করা এক লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, বিগত ৮ মে ২০২৫ তারিখে একই এলাকার মৃত নূর হোসেনের ছেলে আঃ সাত্তার (৪৫) তার বিরুদ্ধে খতিয়ান, দাগ ও জমির পরিমাণ উল্লেখ করে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। অথচ ওই জমির বৈধ মালিকানা রয়েছে মামুন ও তার ভাইয়ের নামে, যার প্রমাণস্বরূপ তাদের নামে দলিলসহ কাগজপত্রও রয়েছে।
অভিযোগে মামুন উল্লেখ করেন, আমরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (মোকদ্দমা নং- ৬৭৬/২০২৫, তারিখ- ২৭/০৪/২০২৫, ধারাঃ ১৪৪/১৪৫) একটি মামলা দায়ের করেছি আঃ সাত্তারদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, আঃ সাত্তার গং ইচ্ছাকৃতভাবে মামুন ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে এবং সর্বশেষ হুমকি দিয়েছে, বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার চুরি করিয়ে মামুনের বিরুদ্ধে চুরির মামলা দায়ের করবে।
মামুন আরও বলেন, আমাকে হয়রানি করতে গত ১০ মে আঃ সাত্তার গং কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর আমাদের নামে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে এবং তাতে উল্লেখ্য করেন যে, আমরা নাকি রাত তিনটার সময় তাদের বাড়িতে হামলা চালাই এবং ৫ ভরি স্বর্ণ ও নগদ পাঁচলক্ষ টাকা নিয়ে আসি। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানুয়াট। তিনি বলেন, অভিযোগে যে তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে সে সময় আমি কাজের সুত্রে ঢাকায় ছিলাম। আমরা এলাকার সাধারণ মানুষ দিন আনি দিন খাই কারো সাথে কখনো ঝগড়া-বিবাধে লিপ্ত হইনা। আমার জায়গায় আঃ সাত্তার গং জোরপূর্বক বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন করে, আমরা এর প্রতিবাদ করলে আঃ সাত্তার গং আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করছে। আমি এখানে একটি বাড়ি করবো এবং বাড়ি করলে এই বিদ্যুতের খুঁটি আমার রাস্তা বরাবর পড়বে এতে আমার চলাচলের বিঘ্ন ঘটবে।
তিনি আরো বলেন, আঃ সাত্তার গং আমার জমির পাশেই একটি বৈদ্যুতিক ইটখলা স্থাপন করবে সেই ইটখলার বৈদ্যুতিক খুঁটিই আমার জায়গা স্থাপন করা। যেহেতু এটি বাণিজ্যিক লাইন তাই এটি ঝুকিপূর্ণ। আমরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে বিচার প্রার্থী হই কিন্তু আঃ সাত্তার গং কোনো বিচার শালিস মানে না। আমরা প্রশাসনের কাছে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সুষ্টু প্রতিকার কামনা করছি।
গত মঙ্গলবার (২৭ মে) গণমাধ্যম কর্মীরা সরেজমিন অনুসন্ধানে গেলে শতাধিক এলাকাবাসী গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, চুরি-ডাকাতি কিছুই না, মূল সমস্যা হচ্ছে বিদ্যুতের খুঁটি, এটা সরিয়ে দিলেই আর কোনো ঝামেলা থাকবে না।
খুঁটি স্থাপনের বিষয়ে অভিযুক্ত আঃ সাত্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি সরকারী জায়গাতে খুঁটি স্থাপন করেছি।
এ বিষয়ে জয়কা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির জানান, উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। তবে অভিযুক্ত আঃ সাত্তার বিষয়টি সুরাহা না করতে বিভিন্ন তালবাহানা করছে।
এফপি/এমআই