আসন্ন জাতীয় নির্বাচন আগামী ৩০ জুনের পর আর হবে না বলে নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি জানান, নির্বাচন আগেই অনুষ্ঠিত হতে পারে- ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে শুরু করে যেকোনো সময়, কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমা ৩০ জুন ২০২৫-এর মধ্যে থেকেই তা সম্পন্ন হবে।
রোববার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই কথা জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক জাপান সফরসহ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সংলাপ নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সোমবার বিকেল ৪টায় জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আনুষ্ঠানিক বৈঠক শুরু করবেন। উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, এই বৈঠকে সংস্কার প্রক্রিয়ায় যুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
তিনি জানান, এটি দ্বিতীয় দফার সংলাপ এবং আশা করা হচ্ছে, আলোচনা দ্রুত শেষ হবে। আলোচনার শেষে ‘জুলাই চার্টার’ নামে পরিচিত একটি কর্মপরিকল্পনা নিয়ে স্পষ্ট ঘোষণা আসতে পারে বলেও তিনি ইঙ্গিত দেন।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক জাপান সফর অত্যন্ত সফল হয়েছে। সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে ছয়টি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর হয়। এর মধ্যে রয়েছে-
বাংলাদেশের বাজেট সহায়তায় জাপানের ৪১৮ মিলিয়ন ডলারের ডেভেলপমেন্ট পলিসি লোন। জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডুয়েল গেজ রেললাইনের জন্য ৬৪১ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা। মানবসম্পদ উন্নয়ন ও বৃত্তির জন্য অতিরিক্ত ৪.২ মিলিয়ন ডলার। মহেশখালী-মাতারবাড়ি উন্নয়ন প্রকল্পে ২৯ বিলিয়ন ডলারের সম্ভাব্য সহায়তা।
প্রেস সচিব আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাপানের প্রধানমন্ত্রী এবং শীর্ষ বিনিয়োগকারীদের বৈঠক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ হয়েছে। জাপান বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের সঙ্গে কাজ করার পূর্ণ আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
জাপান আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ মানবসম্পদ নিতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন শফিকুল আলম। তিনি বলেন, এই লক্ষ্যে কিছু প্রাথমিক চুক্তি হয়েছে এবং একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে কর্মী সংখ্যা আরও বাড়ানোর সম্ভাবনাও রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদও উপস্থিত ছিলেন।
এফপি/রাজ