সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় হাইকোর্ট ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখেছেন। একইসঙ্গে ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশও বহাল রাখা হয়েছে।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা। ঘটনার পর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে ৫ আগস্ট মামলা করেন। র্যাব তদন্ত শেষে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে, যেখানে সিনহার হত্যাকে ‘পরিকল্পিত’ বলা হয়।
২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। এছাড়া ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বাকি সাত আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
২০২5 সালের ২ জুন বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিচারিক আদালতের রায় বহাল রাখেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সুমাইয়া বিনতে আজীজ শুনানিতে অংশ নেন। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান ও মনসুরুল হক চৌধুরী।
রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন সিনহার মা নাসিমা আক্তার ও বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। রায় ঘোষণার পর তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
হাইকোর্টের রায়ের পর আসামিদের আপিলের সুযোগ রয়েছে। তবে আপিল না হলে রায় কার্যকর হবে।
এফপি/রাজ