যশোরের কেশবপুরে এবারের কোরবানীর ঈদে বিক্রির অপেক্ষায় প্রায় ২২ মণ ওজনের লিমনের শখের গরু। তিনি দেড় বছর যাবৎ পিতৃ স্নেহে লালন পালন করছেন।
রবিবার বিকেলে কেশবপুর শহর থেকে ২ কিলোমিটার দূরে কেশবপুর পৌর শহরের ভগতি নরেন্দ্রপুর নোনাডাঙ্গার আব্দুল আহাদ এর ছেলে লিমন এর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, টালির চালাঘরে রাখা লিমন এর শখের গরুটি পরম যত্নে লালন পালন করছে।
এই বিশাল আকৃতির শাড়টিকে প্রতিদিন তিন বেলা তার খাবার তালিকায় রয়েছে ভূষি, খৈল, ভুট্টা, বিচালিও ঘাস খাওয়ানোর পাশাপাশি পাকা কলা, বাদাম এবং পাউরুটিও খেতে দেয়া হয়। প্রতিদিন তাকে খাওয়ানোর জন্য প্রায় ৫ থেকে ৬শ টাকা খরচ হয়। ষাঁড়টি তিনি প্রায় দেড় বছর আগে কেশবপুর গরুর হাট থেকে কিনেছিলেন।
বর্তমান গরুর বাজার অনুযায়ী ষাঁড়টির দাম হাঁকা হচ্ছে ৬ লাখ টাকা। তিনি বলেন, সঠিক দামে যদি বিক্রি করতে পারি তাহলে গরুর সাথে যে কোন একটা উপহার ক্রেতাকে দিবেন।
স্থানীয়রা জানান, এত বড় গরু আমাদের এই এলাকায় আরেকটিও নাই। তাকে প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে বড় করা হয়েছে। এত বড় গরু দেখে আমরাও অনুপ্রাণিত হচ্ছি। প্রতি দিন বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এই গরু দেখতে আসে লিমন এর বাড়িতে।
লিমন বলেন, গরু লালন-পালন করা আমার ছোট বেলা থেকেই শখ সেই কারণে লিমনের শখের গরু বলে পরিচিত তিনি আরো বলেন পরিবারের সকলে মিলেই গরুর সেবাযত্ন করা হয় এ উপজেলার সবচেয়ে বড় ষাঁড় এটি বলে আমি মনে করি। ঠিক ঠাক দাম পেলে তাকে এবার বিক্রি করা হবে। কোনো পশু হাটে তাকে এখনও নিয়ে যাওয়া হয়নি। এতো বড় গরু হাটে নেওয়া সম্ভব না বিধায় বাড়ি থেকেই কোরবানির জন্য ক্রেতা বা ব্যবসায়ীর কাছে গরুটি বিক্রি করতে ইচ্ছুক।
উপজেলা প্রাণি চিকিৎসক অলোকেশ সরকার বলেন, তিনি ছোট অবস্থা থেকেই গরুটির চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। নিয়মিত ষাঁড়টিকে দেখাশোনা করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ায়ে ষাঁড়টি লালন-পালন করছেন লিমন। গরুটির উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুট, দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ৮ ফুট। ওজন প্রায় ২২ মণ।
এফপি/রাজ