জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের রংপুরের বাড়ি স্কাই ভিউতে হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি ও জেলা আহ্বায়ক ইমরান আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সেনাবাহিনী।
রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর পায়রা চত্বরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাত দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে এসেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।
তিনি এখানে ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুমের সাথে কথা বলছেন।
এর আগে সেদিনের ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা কর্মীদের ওপর জাতীয় পার্টির হামলার অভিযোগ তুলে মহানগর কোতোয়ালি থানায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, রসিকের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ ১৮ জনের নামে মামলার আবেদন করে ফিরছিলেন এই দুই নেতা।
পরে ঘটনাস্থলে ডাকা হয় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু, সদস্য সচিব মাহফুজ উন নবী ডন ও জেলা সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকুকে। তাদের কাছেও জানতে চাওয়া হয় এ হামলার সাথে তাদের নেতাকর্মীরা জড়িত কিনা।
এ সময় গত বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের রংপুরের বাড়ি 'স্কাই ভিউতে' হামলার ঘটনায় তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হামলার সময়কার ভিডিও ফুটেজ এবং স্থিরচিত্র দেখিয়ে হামলাকারীদের পরিচয় জানতে চান সেনাবাহিনী।
এর আগে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মহানগর কোতোয়ালি থানায় গিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, ও চেয়ারম্যান রংপুরের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ জাতীয় পার্টি ও অঙ্গ সংগঠনের ১৮ জন নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রংপুরের সংগঠক আলমগীর রহমান নয়ন।
এ সময় এনসিপি নেতা সারজিস আলম বলেন, এনসিপি, বিএনপি, জামআত সকলকে জিজ্ঞাসা করা যেতে পারে। তবে সেটা রাতের আধারে না করে দিনের আলোতে করা হোক। আওয়ামীলীগের দোসর জাতীয় পার্টির কোন স্থান বাংলাদেশে হবে না। আমরা চাই তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।
সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুম জানান, আমরা বৃহস্পতিবারের সাবেক সেনা প্রধান হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের বাসায় ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের বিষয়ে জানতে তাদের ডেকেছিলাম। তাদের তদন্তর সার্থে সহযোগীতা কামনা করেছি। রংপুরে শান্তি শৃঙ্খলা ফেরাতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সেনাবাহিনী। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তাই এক বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত কোন প্রকার অরাজগতা মেনে নেয়া হবে না।
এফপি/রাজ