বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আবারও নেতৃত্বের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মাত্র ৯ মাসের ব্যবধানে ফারুক আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হয়ে নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক ও দেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
২০২৪ সালের আগস্টে, রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষিতে নাজমুল হাসান পাপন পদত্যাগ করেন এবং ফারুক আহমেদ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তবে, ফারুকের নেতৃত্বে বোর্ডের অভ্যন্তরে দ্বন্দ্ব এবং স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ ওঠে।
পরিচালকদের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি পায়, যার ফলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফারুককে অপসারণ করে আমিনুল ইসলামকে সভাপতি করা হয়।
৫৭ বছর বয়সী আমিনুল ইসলাম, যিনি ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং দেশের অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন, বিসিবির ষোড়শ সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। দীর্ঘদিন আইসিসির এশিয়া অঞ্চলের ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বোর্ডে এসেছেন।
নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি জানান, আমি একটা কুইক টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলতে এসেছি এখানে। যেই ইনিংসটা আপনারা সবাই মনে রাখবেন।
বিসিবির এই নেতৃত্ব পরিবর্তনের পেছনে রাজনৈতিক প্রভাব স্পষ্ট। ফারুক আহমেদের অপসারণ এবং আমিনুল ইসলামের নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আইসিসি অতীতে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট বোর্ডে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এমন শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে বিসিবি কীভাবে এগিয়ে যাবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, নেতৃত্বের স্থায়িত্ব এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত না হলে দেশের ক্রিকেটের উন্নয়ন ব্যাহত হতে পারে। নতুন সভাপতির জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জ, যেখানে তাকে রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত থেকে ক্রিকেটের স্বার্থে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ এখন আমিনুল ইসলামের কাঁধে। তার নেতৃত্বে দেশের ক্রিকেট কোন পথে এগিয়ে যাবে, তা দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা।
এফপি/রাজ