শেরপুরে পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিক্রয় নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ।
জব্দকৃত পলিথিনের পরিমান প্রায় ২ হাজার ৮ শত কেজি বলে পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র জানায় এবং যার বাজার মূল্য প্রায় ৬ লক্ষ টাকা।
২৭ মে মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর
ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকায় একটি রাইস মিলের গোডাউনের তালা ভেঙে এ গোপন পলিথিনের মজুদ জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে প্রাথমিক ভাবে আটক করে পলিথিন বিক্রির অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে তাকে জরিমানার টাকা আদায় করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে পলিথিন মজুদ ও বিক্রির মূল হোতা এরশাদ আলী (৪৫) অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যায়। জানা গেছে শেরপুর জেলায় নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রির মূল হোতা এরশাদ আলীর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলাও রয়েছে এবং একটি মামলায় সে ওয়ারেন্ট ভূক্ত আসামি।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক সুশীল কুমার দাস বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লছমনপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে মাটির নিচে একটি গোপন কক্ষে পলিথিনের বিশাল মজুদ আছে এরকম খবরে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সমন্বয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে মাটির নিচের গোডাউনটির সন্ধান পাওয়া যায়। এ সময় ঐ কক্ষ ছাড়াও আরো দুইটি গোডাউনে সন্ধান চালিয়ে ২ হাজার ৮ শত কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর পরিবেশ রক্ষায় এরকম অভিযান অব্যহত রাখবে বলে জানায়।
পরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল মুহাম্মদ ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে পলিথিন বিক্রির অপরাধে একজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং গোডাউন তিনটি ছিলগালা ও মূল হোতা এরশাদ আলীর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দেন।
এফপি/রাজ