কক্সবাজারের পেকুয়ায় জায়গার বিরোধের জেরে শ্বাশুড়ী, পুত্রবধু ও মেয়েসহ তিন নারীকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের নতুনঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, ওই এলাকার মোস্তাক আহমদের স্ত্রী ফরিদা বেগম (৬৫), তাঁর মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস (২৪) ও পুত্রবধু রুমা আক্তার (২৫)। আহত ফরিদা বেগমকে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অপর আহত দুজন স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, ফরিদা বেগম ও তাঁর ছোট ভাই হারুনুর রশিদ এর সঙ্গে জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন ফরিদা বেগমের খরিদা জায়গায় জোর করে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা চালায় হারুনুর রশিদ। এসময় বাধা দেওয়ায় হারুনুর রশিদ, তাঁর ছেলে তারেক জিয়া, মেয়ের জামাই ফজল করিমসহ ৪ থেকে ৫ জন লোক লাঠি দিয়ে মারপিট করে। এতে ওই তিন নারী আহত হন।
এ ব্যাপারে ফরিদা বেগমের পুত্রবধু রুমা আক্তার বলেন, আমার শ্বাশুড়ির খরিদা জায়গা নিয়ে চাচা শশুর হারুনের দ্বন্ধ চলছে। তাঁরা জোর করে জায়গা দখলের চেষ্টা চালায়। সকালে লোকজন নিয়ে ঘর নির্মানের চেষ্টা করে হারুন। বাধা দেওয়ায় আমাদের তিনজনকে মারধর করে। মোবাইল, স্বর্ণালঙ্কর ছিনিয়ে নিয়েছে। এর আগেও আমার শ্বাশুড়ি ও স্বামীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এমনকি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায়ও জায়গা জবর দখলের চেষ্টা করে। আমার স্বামী তৌহিদ এনজিও সংস্থায় চাকুরি করে। হামলার ঘটনায় থানায় এজাহার জমা দিতে গেলে পুলিশ তাকে আটক করে একটি মামলা দিয়ে জেলে পাঠায়।
ফরিদা বেগমের বড় ভাই আবুল কাসেম বলেন, জায়গা চল্লিশ বছর ধরে ফরিদার ভোগ দখলে আছে। সম্পত্তি ফরিদার। হারুন ওই জায়গা দখলের জন্য বার বার চেষ্টা করছে। ফরিদাকে হয়রানি করছে।
পেকুয়া থানার এসআই রুহুল আমিন বলেন, আসলে ওই মহিলাকে নির্যাতন করা হচ্ছে। থানায় একটি অভিযোগও আছে। আজকে অন্য একজন অফিসার গিয়েছিল।
এফপি/রাজ