চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর শহরের কাঁচা বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১টি দোকানের সমস্ত মালামাল একেবারে পুড়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ীদের প্রায় ৭৫ লাখ টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জীবননগর ফায়ার ও সিভিল ডিফেন্সের লিডার মো. আব্দুল মোহাইমেন তুষার।
তিনি বলেন, ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর টহলরত পুলিশের মাধ্যমে রাত ১টা ৩৩ মিনিটের সময় আমরা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। সোমবার দিনগত (২৬ মে) রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বাজারের নৈশপ্রহরী রেজাউল ইসলাম জানান, কাঁচা বাজারের সাইফুল ইসলামের খাবারের হোটেল থেকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে মুহুর্তের মধ্যে পার্শ্ববর্তী দোকানগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান, আগুনে তার ৩ লাখ টাকার মালামাল একেবারে পুড়ে গেছে, এছাড়া সাখাওয়াত হোসেনের খাবার হোটেলের সাড়ে ৩ লাখ টাকার মালামাল, আমিনুল ইসলামের মুদি দোকানের ২০ লাখ টাকার মালামাল, সাইফুর রহমানের মুদি দোকানের ২০ লাখ টাকার মালামাল, আমিনুল ইসলামের মুদি দোকানের গোডাউনে রক্ষিত ১৫ লাখ টাকার মালামাল, ফারুক উদ্দিনের মুদি দোকানের গোডাউনে রক্ষিত ৫ লাখ টাকার মালামাল, শাহিন মোল্লার মুদি দোকানের গোডাউনে রক্ষিত ১০ লাখ টাকার মালামাল, আরব আলীর জুতার দোকানের ১ লাখ টাকার মালামাল একেবারে পুড়ে গেছে। এছাড়া তরিকুল ইসলামের অস্থায়ী কাপড়ের দোকান, রবিউল ইসলামের অস্থায়ী কাপড়ের দোকান এবং মিজান হোসেনের অস্থায়ী কাপড়ের দোকানের আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত হোটেন ব্যাবসায়ী রানা হোসেন জানান, এখানে মূলত কিছু দোকানের গোডাউন ছিল। ঈদ উপলক্ষে অনেকেই মালামাল তুলে গোডাউনে রেখে দিয়েছিলেন। এর মধ্যে গোডাউনে সয়াবিন এবং তেলের জন্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে। এছাড়া চায়ের দোকানের ফ্রিজসহ বিভিন্ন মালামাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আমাদের হিসেব অনুযায়ী ব্যবসায়ীদের প্রায় পৌনে ১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জীবননগর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুন্সী মাহবুবর রহমান বাবু বলেন, ঈদের আগে দোকানগুলোতে আগুল লেগে ব্যবসায়ীরা খুব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। দোকানের মালামাল পুড়ে তাঁরা একেবারে পথে বসে গেছেন।
মঙ্গলবার সকালে সরজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, জীবননগর কাঁচা বাজারের একাংশ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অনেকেই পোড়া ছাইয়ের মধ্যে অবশিষ্ট অংশ খোঁজার চেষ্টা করছেন। পুড়ে যাওয়া ১১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মচারীরা সবকিছু হারিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
এফপি/রাজ