আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানির জন্য যশোর জেলায় চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত পশু প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ঈদকে ঘিরে কোরবানির পশু প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এই জেলার প্রান্তিক খামারী ও পারিবারিকভাবে পালন করা পশুর মালিকরা।
জেলার আট উপজেলায় মোট ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৭৪ টি কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে গরু রয়েছে ৩৫ হাজার ৩৩৮টি, মহিষ ৯৫টি, ছাগল ৭৮ হাজার ৫৫৮টি এবং ভেড়া ৫৮৩টি।
ঈদের শেষ দিন পর্যন্ত সংখ্যা আরো বাড়ার সম্ভাবনা আছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৯৫ হাজার ৮১২টি। এর চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত আরো ১৮ হাজার ৭৬২টি পশু উদ্বৃত্ত থেকে যাবে এবং যশোরের বাহিরে অন্য জেলায় বিক্রি করা যাবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদুল হক জানান, এ বছর পশু বিক্রি থেকে কয়েকশ কোটি টাকার বাণিজ্য হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে কোরবানির পশুর চামড়া দিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বৃহত্তম চামড়ার মোকাম রাজার হাটের চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে, যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
তিনি আরও জানান, গতবারের মত এইবারও পশুর কোন সংকট থাকবে না। চাহিদার তুলনায় যশোর জেলায় অতিরিক্ত ১৯ হাজার পশু প্রস্তুত আছে। মাঠ পর্যায়ে মোটাতাজাকরণ গবাদিপশুগুলিকে নিয়মিত কর্মীদের দ্বারা মনিটরিং করা হচ্ছে।
ন্যাচারাল পদ্ধতিতে গবাদি পশুদের পরিচর্যাসহ লালন পালন করা হচ্ছে। প্রতিটি পশুর হাটে থাকবে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেডিকেল টিম। কোনো পশু অসুস্থ হয়ে পড়লে সাথে সাথে তারা ব্যবস্থা নিবে। কোনো রোগাক্রান্ত পশু হাটে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
এফপি/রাজ