গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে বিএনপির অবস্থানকে রাজনৈতিক অসততা বলে আখ্যায়িত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, ছাত্র উপদেষ্টাদের পদত্যাগের দাবি শুধু অবিবেচনাপ্রসূতই নয়, এটি গণআন্দোলনের চেতনাকেও অবমাননা করে।
চট্টগ্রামের বিপ্লব উদ্যানে রোববার সকালে সাংগঠনিক সফর শুরুর আগে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, যে দুজন ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চাওয়া হচ্ছে, তারা কোনো দলের নয়- তারা গণঅভ্যুত্থানের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাদের নামের সঙ্গে দলীয় পরিচয় জুড়ে দিয়ে সম্মানহানি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা গণআন্দোলনের ইতিহাস বিকৃতির সামিল।
হাসনাত আরও বলেন, এনসিপি স্পষ্ট করে জানাচ্ছে- এই ধরনের তকমা লাগানোর রাজনীতি নিন্দনীয়। যারা দীর্ঘ লড়াইয়ের মাধ্যমে বর্তমান প্রেক্ষাপট তৈরি করেছেন, তাদের প্রতি সম্মান দেখানোই এখনকার রাজনৈতিক শালীনতার চিহ্ন হওয়া উচিত।
বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও রাজনৈতিক শর্ত আরোপের চেষ্টাকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, জাতীয় সংকটকালে মতপার্থক্য থাকতেই পারে, তবে সে মতপার্থক্যকে সম্মানহানির কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা দুরভিসন্ধিমূলক। সংকট এলে সবাইকে একসাথে কাজ করতেই হয়, আর সেই ঐক্যই বারবার ইতিহাসে জাতিকে পথ দেখিয়েছে।
তিনি জানান, বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন ইস্যুতে জনগণের ভাবনা জানতেই এনসিপি দেশব্যাপী সাংগঠনিক সফর শুরু করেছে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ থেকে শুরু হওয়া এই সফরে ৯টি স্থানজুড়ে পথসভা অনুষ্ঠিত হবে।
এ সফরে হাসনাতের সঙ্গে রয়েছেন সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব মীর আরশাদুল হক, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আলম মিতু, মো. আতাউল্লাহ এবং সংগঠক আরমান হোসেন।
হাসনাত বলেন, মানুষ কী ভাবছে, কী চায়- সেটা জানার জন্যই আমরা মানুষের কাছে যাচ্ছি। এনসিপি শুধু সিদ্ধান্ত দেয় না, সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে মানুষের মন বুঝে।
এফপি/রাজ