পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে বুধবার (২১ মে) একটি স্কুলবাসে সন্ত্রাসী হামলায় কমপক্ষে পাঁচ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুসারে, সন্ত্রাসীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিকে যাওয়ার সময় বাসটিকে লক্ষ্য করে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটায়।
হামলার পর বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি বলেছেন, নিহত ছয় জনের মধ্যে চার শিশু, বাস চালক এবং তার সহকারী রয়েছেন। গুরুতর আহতদের বিমানের মাধ্যমে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। খুজদারের ডেপুটি কমিশনার উল্লেখ করেছেন, বিস্ফোরণে ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ভারতের পরিকল্পিত এবং সংঘটিত, বেলুচিস্তানে তাদের প্রতিনিধিদের পরিচালিত আরেকটি কাপুরুষোচিত ও ভয়াবহ হামলায় আজ নিরীহ স্কুলগামী শিশুদের বাস লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।’
এতে বলা হয়, ‘যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যর্থ হওয়ার পর, এই অত্যন্ত জঘন্য ও কাপুরুষোচিত কাজের মাধ্যমে ভারতীয় প্রক্সিরা বালুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়ায় সন্ত্রাস ও অশান্তি ছড়াতে মুক্ত হয়েছে। প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে, তিন জন নিরীহ শিশু এবং দুই জন প্রাপ্তবয়স্ক শহীদ হয়েছেন এবং একাধিক শিশু আহত হয়েছে।’
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী আরও বলেছে, পাকিস্তানে নিরীহ শিশু ও বেসামরিক নাগরিকদের মতো নরম লক্ষ্যবস্তুতে সন্ত্রাস সৃষ্টির জন্য সন্ত্রাসী প্রক্সিগুলোকে ভারত রাষ্ট্রীয় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। ভারতীয় রাজনৈতিক সরকারের দ্বারা সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে ব্যবহার করা ঘৃণ্য এবং তাদের নিম্ন নৈতিকতা ও মৌলিক মানবিক নিয়মের প্রতি অবজ্ঞার প্রতিফলন।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এই কাপুরুষোচিত ভারত-প্রায়োজিত হামলার পরিকল্পনাকারী, সহায়তাকারী এবং কার্যকরকারীদের শিকার করে ন্যায়বিচারের আওতায় আনা হবে এবং ভারতের জঘন্য মুখ পুরো বিশ্বের সামনে উন্মোচিত হবে। পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী জাতির সমর্থনে ভারত-প্রায়োজিত সন্ত্রাসবাদকে পাকিস্তান থেকে সমস্ত রূপে নির্মূল করতে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়িয়েছে।
এফপি/এমআই