বগুড়ার আদমদীঘির এক ডজন মাদক মামলার আসামি মিনু বেগমকে ৫৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা।
বুধবার (২১ মে) বিকেলে তাকে ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিনু বেগম আদমদীঘি উপজেলা সদরের ছোট জিনইর গ্রামের আমিনুল ইসলাম আমুর স্ত্রী। এসময় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা সুলতানা মিনু বেগমকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। সে আটক হওয়ার পর এলাকায় স্বস্তি ফিরে আসে এবং গ্রামবাসী মিষ্টি বিতরণ করেন।
আদমদীঘি উপজেলার ছোট জিনইর গ্রামবাসি, পুলিশ জানায়, মিনু বেগম একজন মাদক ব্যবসায়ী সে তার স্বামী সন্তানসহ পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন যাবত ইয়াবা, ট্যাপেন্টাডল, গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য বেচাকেনা করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে আদমদীঘি থানাসহ বিভিন্ন থানায় প্রায় ১২টি মাদকদ্রব্য আইনে মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারও হয়েছে বেশ কয়েকবার। সে আদালত কর্তৃক জামিনে মুক্ত পেয়ে ফের মাদক বিক্রি করেন। এতে এলাকার যুব সমাজ বিপদগামী হচ্ছে। মিনু বেগমকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সম্প্রতি গ্রামবাসী পোস্টারিং ও মানববন্ধন কললেও সে ছিল ধরাছোঁয়ার বাহিরে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সান্তাহার সার্কেলের পরিদর্শক আসলাম আলী মন্ডল জানান, গতকাল বুধবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিক্তিতে আদমদীঘির অদুরে ইন্দইল ব্রিজের পাশে মিনু বেগমের ভাড়া বাসায় নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তার শয়ন ঘরের একটি প্লাস্টিকের পাইপের ভিতর অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৫৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তাকে আটক করা হয় এবং তৎক্ষণিক ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা সুলতানা মিনু বেগমকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এফপি/রাজ