শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ রোড বর্তমানে একটি মনোমুগ্ধকর ফুলের রাজ্যে পরিণত হয়েছে। এই সড়কের দুই পাশে কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, সোনালুর মতো বর্ণিল ফুলগাছ শোভা পাচ্ছে, যা এপ্রিল-মে মাসে ফুলে ফুলে ভরে ওঠে।
এই দৃশ্য পর্যটক, দর্শনার্থী, পথচারী ও স্থানীয়দের আকর্ষণ করছে এবং অনেকেই এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসছেন। শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ রোড বর্তমানে ফুলের সৌন্দর্যে এক অনন্য পর্যটন গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। এই সড়কের দুই পাশে বিভিন্ন রঙের ফুলগাছের সমাহার পথচারীদের মুগ্ধ করে তুলছে।
এই ফুলের রাজ্য উপভোগ করতে চাইলে, শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ভানুগাছ রোড ধরে এগিয়ে যেতে পারেন। বধ্যভূমি ৭১ থেকে শুরু করে বিটিআরআই পয়েন্ট পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে এই ফুলগাছগুলোর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। এটি একটি চমৎকার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা হতে পারে, বিশেষ করে শ্রীষ্মকালে যখন ফুলগুলো পূর্ণ রঙে ফুটে থাকে।
শ্রীমঙ্গল শহরের প্রবেশপথ ভানুগাছ-শ্রীমঙ্গল সড়কের বধ্যভুমি ৭১ থেকে চা গবেষণা ইনস্টিটিউট পয়েন্ট পর্যন্ত চা বাগানের সারি। শ্রীমঙ্গল শহরের খুব কাছে বধ্যভূমি ৭১ পেরুলেই চা-বাগান। ভাড়াউড়া চা বাগানের ফাঁড়ি বাগান ভুরভুরিয়া চা বাগানের মাঝ দিয়ে চলে গেছে আঁকা-বাঁকা পীচ ঢালা পথ। এটি শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়ক।
গাছে গাছে ফুটে থাকা রক্তলাল, হলুদ, সোনালীসহ হরেক প্রজাতির গাছের ফুলগুলো সৃষ্টি করেছে এক বৈচিত্র্যময় পরিবেশ। এ ফুলের গাছগুলো সমহিমায় উজ্জ্বল হয়ে নিজেকে মেলে ধরেছে প্রকৃতিতে। যেন লাল, হলুদ, গোলাপী, হলুদ আর সোনালী রঙে রাঙিয়েছে প্রকৃতি।
সবচেয়ে আকর্ষণীয় সোনালু আর কৃষ্ণচূড়ার গাছ। বিশেষ করে সোনালু দুর্দান্ত ফুলের গাছ। এটি তার আকর্ষণীয় সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। শোভাময় গাছ হিসেবে এর উজ্জ্বল হলুদ ফুল সড়ক, বাগান, পথগুলিকে শোভিত করে। সোনালু ফুল তার দীপ্তিময় বর্ন দিয়ে দর্শকদের মোহিত করে। প্রকৃতির এক অপরুপ সৃষ্টি সোনালু ফুলের সৌন্দর্য। প্রকৃতিকে নয়নাভিরাম রুপে সাজিয়ে তুলতে এর জুড়ি নেই। শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ রোডের এই ফুলেল সৌন্দর্য প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এক অপার আনন্দের উৎস। গ্রীষ্মকালে এই সড়ক হয়ে ওঠে এক রঙিন স্বপ্নপথ, যা দেখে মন ভরে যায়।
এফপি/রাজ