শিরোনাম: |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। বিকাল ৫টা থেকে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে কেন্দ্রীয়ভাবে ফল গণনা শুরু হবে।
এটি রাকসুর ১৫তম নির্বাচন।
সর্বশেষ রাকসু নির্বাচন (১৪তম) হয়েছিল ১৯৯০ সালের ২৯ জুলাই। দীর্ঘদিন পর এ নির্বাচন হওয়ায় উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থী, প্রার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। ক্যাম্পাসজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ।
নির্বাচন কমিশন জানায়, এবারের রাকসুতে মোট ২৮ হাজার ৯০১ জন ভোটার, প্রার্থী রয়েছেন ৮৬০ জন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি একাডেমিক ভবনে স্থাপিত ১৭টি ভোটকেন্দ্রের ৯০৯টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে। মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ছাত্রদল সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম এবং ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্মিলত শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের মধ্যে, এমন আভাস দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পদের প্রার্থীরাও।
তারা বলছেন, অনেক পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়েরও সম্ভাবনা রয়েছে। এর বাইরে বিভিন্ন প্যানেলের আলোচিত বেশ কয়েকজন প্রার্থী রয়েছেন, যারা এবারের রাকসুতে চমক দেখাতে পারেন।
তাদের মধ্যে সাবেক সমন্বয়কদের ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য প্যানেল’-এর জিএস প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মারসহ আলোচনায় আছেন আরো কয়েকজন। এছাড়া রাকসুর বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছেন, যারা ক্যাম্পাসের পরিচিত মুখ হিসাবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগে থেকেই বেশ জনপ্রিয়।
এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে নেওয়া হয়েছে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। উৎসবের আমেজ থাকলেও পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এখন কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভোটকেন্দ্র ও তার আশপাশে মোতায়েন করা হয়েছে ২ হাজার ৩০০ পুলিশ সদস্য।
পাশাপাশি নিরাপত্তা জোরদারে দায়িত্ব পালন করছে ১২ প্লাটুন র্যাব ও ৬ প্লাটুন বিজিবি। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ ১০০টি পয়েন্টে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
এফপি/অআ