শিরোনাম: |
৩৫ বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ব্যবহৃত ভোটের কালি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রার্থীদের অভিযোগ, ভোটারদের হাতে ব্যবহৃত কালি অমোচনীয় নয়—এতে জাল ভোটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, “ভোটের কালি সহজেই মুছে ফেলা যাচ্ছে। আমরা এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।”
সমাজসেবা ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাসিবুর রহমান রনি জানান, আইটি অনুষদের ২১৪ নম্বর কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসারের সই ছাড়া ২০টি ব্যালট পেপার জমা পড়েছে।
এ বিষয়ে আইটি অনুষদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক এস এম শরিফুজ্জামান বলেন, “বর্তমানে দেশে স্থায়ী ভোটের কালি পাওয়া যায় না। তাই বিকল্প হিসেবে পারমানেন্ট মার্কার ব্যবহার করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “সইবিহীন ব্যালটের বিষয়টি নজরে এসেছে; নির্বাচন শেষে তা সংশোধন করা হবে।”
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আয়োজিত এই নির্বাচনে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদ ভবনের ১৫টি কেন্দ্রে মোট ৬৮৯টি বুথে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে।
নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ক্যাম্পাসজুড়ে র্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা দপ্তরের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
এফপি/অআ