Dhaka, Wednesday | 14 May 2025
         
English Edition
   
Epaper | Wednesday | 14 May 2025 | English
চবির সমাবর্তনে ড. ইউনূসকে ডি.লিট ডিগ্রি প্রদান
৬ কোটিতে আইপিএলে দল পেলেন মুস্তাফিজ
কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধান উপদেষ্টা
দুদকের মামলায় জামিন পেলেন জোবাইদা রহমান
শিরোনাম:

দেশে উৎপাদিত ৮৭ শতাংশ শুটকিই নিরাপদ: গবেষণা

প্রকাশ: বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ২:৪৮ পিএম  (ভিজিটর : ১১)

দেশে উৎপাদিত শুটকিতে গড়ে ১৩ শতাংশ কীটনাশক ব্যবহারের চিত্র পাওয়া গেছে অর্থাৎ ৮৭ শতাংশ শুটকিই নিরাপদ। যে ১৩ শতাংশ শুটকিতে কীটনাশক ব্যবহারের চিত্র পাওয়া গেছে, তাতে রান্নার পর কিটনাশকের মাত্রা অনেক কমে যায় বলে জানিয়েছেন গবেষক দল।

দেশে শীর্ষস্থানীয় সামুদ্রিক মাছের শুটকি উৎপাদন হয় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, দুবলার চর, স্বাদু পানির মাছের শুটকি উৎপাদন হয় নাটোরের চলনবিল ও সুনামগঞ্জে। এসব স্থানের উৎপাদিত শুটকি নিয়ে একটি গবেষণায় এ চিত্র উঠে আসে।  তাতে দেখা গেছে, এসব শুটকিতে গড়ে ১৩ শতাংশ কীটনাশক ব্যবহার করা হয়।

গবেষণায় আরো দেখা যায়, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকার মানুষ যেসব শুটকি গ্রহণ করে, তার মধ্যে সবথেকে বেশি খায় ছুরি শুটকি (চট্টগ্রাম ৫৭% ও কক্সবাজার ৫৫%), অন্যদিকে চলন বিলের মানুষ টাকি শুটকি বেশি গ্রহণ করে (৩৭%), আবার সুন্দরবনের দুবলার চর এলাকার মানুষের সবচেয়ে পছন্দের শুটকি হলো লইট্ট্যা শুটকি (৪৬%)৷  

উপরের ৫টি স্থান থেকে মোট ৪০৫ টি নমুনা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) আয়োজিত গবেষণার ফলাফল অবহিতকরণ সেমিনারে গবেষক দল কর্তৃক গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়।

বুধবার (১৪ মে) সকালে রাজধানীর শাহবাগে নিজ কার্যালয়ে সেমিনারটির আয়োজন করে বিএফএসএ।

বিএফএসএ’র সদস্য ড. মোহাম্মদ মোস্তফার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জাকারিয়া, গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার ড. মো. আরিফুল ইসলাম, প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন শেরে-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার ড. মো. নাজমুল বারী ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিএফএসএ’র সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শোয়েব।

বিএফএসএ চেয়ারম্যান জাকারিয়া বলেন, “২০২২-২৩ সালের ৭টি গবেষণা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়, তার মধ্যে এটি একটি। এখানে গবেষণার যেসব ফলাফল প্রকাশিত হয় তা গবেষকের নিজস্ব বিষয়, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের দায় নেই। আর এটি দেশের সার্বিক চিত্রও নয়, বরং সামান্য বিষয়। আমরা স্বল্প পরিসরে গবেষণা করি সেখানে খারাপের মাত্রা বেশি পাওয়া গেলে বড় আকারে গবেষণার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হবে নির্দিষ্ট স্টেকহোল্ডারদেরকে।”

তিনি বলেন, শুটকিতে কীটনাশক দিলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।

আর ভেজালের সংজ্ঞা নির্ধারণের ব্যাপারে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের অনেক কিছু সামাজিকভাবে অনিয়ম ও ভেজাল। সেটি প্রকৃত অর্থে কোন ভেজাল নেই। তাই কোনটা ভেজাল তা নির্ধারণ করতে হবে। শুটকিতে কীটনাশক ব্যবহারকে ভেজাল হিসেবে গণ্য করা হবে।”

স্বাগত বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শোয়েব বলেন, শুটকি মাছে কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। সম্প্রতি বাসেল কনভেনশনে ১০টি কীটনাশক নিষিদ্ধের প্রস্তাব করা হয়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশে দুটি কীটনাশক ব্যবহার হয়।

ড. মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, “আমাদের প্রোটিনের ৬০ ভাগ আসে মাছ ও মাংস থেকে। দেশের বেশিরভাগ শুটকি উৎপাদনকারী অশিক্ষিত হওয়ায় সঠিকভাবে প্রস্তুত করতে পারে না। অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত শুটকি তৈরি হয়। তখন রোদ না থাকলে কীটনাশকের ব্যবহার করা হয়।”

তিনি বলেন, সূর্যের আলো ব্যবহার করে শুটকি তৈরিতে বেশিরভাগ কীটনাশক ব্যবহার হয়। গবেষণায় ২৬০টি সেম্পল নেওয়া হয়েছে, তাতে মাত্র ১৩ শতাংশের মধ্যে কীটনাশকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। কোন অঞ্চলের মানুষ দৈনিক কী পরিমাণ শুটকি খায় সে সম্পর্কে তিনি বলেন, কক্সবাজারের মানুষ ১৫.৭২ গ্রাম, চট্টগ্রামে ১৪.৪৮, সুনামগঞ্জে ৭.৮৪, চলনবিলে ৯.৫৬ ও ডুবলার চরে ১২.২২ গ্রাম শুটকি গ্রহণ করে৷

শুটকিতে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, দুবলার চর, সুনামগঞ্জ ও চলনবিলের শুটকিতে এনডোসালফান সালফেটের পরিমাণ বেশি পাওয়া গেছে। তা ছাড়া ডেলড্রিন, হেপটাচলোর ইপোক্সিসাইট ও বেটা এনডোসালফানের ব্যবহার কম পাওয়া গেছে।

ড. মো. নাজমুল বারি বলেন, সব জায়গায় পলিথিন ব্যবহার হচ্ছে। তাই আগামী গবেষণাগুলোতে মাইক্রো প্লাস্টিকের বিষয়টি থাকতে হবে। সূর্যের আলো ব্যবহার না করে বরং মেকানিক্যাল ড্রায়িং করার আহ্বান জানান তিনি।

শুটকি কয়েক ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখলে বা লবণ দিয়ে ভিজিয়ে রাখলে ক্ষতিকর দিকটি কেটে যায় বলে জানান বক্তারা।

সেমিনারে বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবর্গ, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এফপি/এমআই
সর্বশেষ সংবাদ  
সর্বাধিক পঠিত  
YOU MAY ALSO LIKE  
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Editorial, News and Commercial Offices: Akram Tower, 15/5, Bijoynagar (9th Floor), Ramna, Dhaka-1000
Call: 01713-180024, 01675-383357 & 01840-000044
E-mail: news@thefinancialpostbd.com, ad@thefinancialpostbd.com, hr@thefinancialpostbd.com
🔝