রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫) নিহত হয়েছেন। পুলিশ এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে এ ঘটনা ঘটে। সাম্য মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার সময় আরেকটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
রক্তাক্ত অবস্থায় সহপাঠীরা সাম্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার ডান পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল।
শাহরিয়ার আলম সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি স্যার এ এফ রহমান হলের ২২২ নম্বর কক্ষে থাকতেন এবং ছাত্রদলের ওই হল শাখার সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন।
ঘটনার পর পুলিশ রাজধানীর রাজাবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে দুজনকে একটি ক্লিনিক থেকে আটক করা হয়, যেখানে তারা চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তবে গ্রেপ্তারকৃতদের নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সাম্যের মৃত্যুর খবরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও চত্বরে মধ্যরাতেও তাদের অবস্থান করতে দেখা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রদল সাম্যের হত্যাকাণ্ডে গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। তারা আশা করছে, দ্রুতই ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করা যাবে।
সাম্যের মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ছাত্রদলসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
এফপি/রাজ