কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নবম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী নিজ কন্যা সন্তানকে হত্যা করেন আপন বাবা-মা। পরে সন্তানকে হত্যার দায়ে বাবা জাহিদুর ইসলামসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১২ মার্চ) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নিহতের বাবা জাহিদুল ইসলাম (৪৫), মা মোর্শেদা (৩৮) বেগম ও চাচি শাহিনুর বেগম (৪৫)।
পুলিশ জানায়, জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে তার প্রতিবেশী মজিবর রহমানের ৩২ বিঘা জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। জাহিদুল ইসলাম তার প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত শনিবার (১০ মে) গভীর রাতে তার স্ত্রী ও ভাইয়ের স্ত্রীর সহযোগিতায় নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে জান্নাতি খাতুনকে (১৫) রড ও দা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে তারা ভুট্টা ক্ষেতের পাশে মরদেহ ফেলে রাখে ও খড়ের পালায় আগুন লাগিয়ে দেয়। পরদিন সকালে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় নিহতের চাচা খলিল হক (৫৫) বাদী হয়ে কুড়িগ্রাম থানায় এজাহার দাখিল করেন। পরে কুড়িগ্রাম থানার একটি টিম হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত শুরু করে। তদন্তের এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের মেয়েকে মা-বাব কর্তৃক হত্যার বিষয়টি উঠে আসে।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া অফিসার ও ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুড়িগ্রাম থানার ওসি হাবিবুল্লাহ ও ডিবি পুলিশের একটি টিম তাৎক্ষণিকভাবে অনুসন্ধান শুরু করে মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যে উক্ত ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে মূল ঘাতকদের গ্রেফতার করে। পরে আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এফপি/এমআই