শ্বশুরকে হত্যার দায়ে জামাই এবং তার ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৪ টার দিকে খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক সুমি আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় জামাই ও তার ভাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী শুভেন্দু রায় চৌধুরী। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, খুলনা নগরীর দৌলতপুর থানা এলাকার আতিয়ার রহমানের বাড়ির বাসিন্দা মো. শেখ তুজাম শেখের ছেলে মো. শেখ রাশেদ এবং তার ছোটভাই মো. শেখ রকিবুল ইসলাম।
হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে এজাহার থেকে যা জানা যায়, ২০২১ সালের ২২ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার দিকে মোবাইলে কথা বলতে বলতে আ: রশিদ ঢালী বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। রাত ৮টার দিকে মেয়ে তিন্নির ফোনে কল দিয়ে তার বাবা রশিদ বলেন তিনি ফুলবাড়ি গেটে অবস্থান করছেন। তখন মেয়ে তিন্নি বাবাকে বাড়িতে দ্রুত আসার জন্য তাড়া দিতে থাকে। বাড়িতে বাবা ফিরে না আসায় সাড়ে ৮টার দিকে পুনরায় বাবার ফোন কল দিলে বিপরীত থেকে বন্ধ আছে বলে জানতে পারে তিন্নি। রাত ৯টার দিকে বাবার ফোন থেকে কল আসালে বিপরীত থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি জানায় ওই নম্বরটি তিনি রাস্তায় ফেলানো অবস্থায় পেয়েছেন।
তখন রশিদের মেয়ে তিন্নি তার অবস্থান জানতে চাইলে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে ফোনটি বন্ধ করে দেয়। তখন মেয়ে জামাই রাশেদকে ফোন দিলে সে রশিদের বাড়িতে আসে এবং তারা সকলে মিলে রশিদের সন্ধানে বিভিন্নস্থানে খোঁজ করতে বের হয়।
পরবর্তীতে দু’দিন পর পরিবারের লোকজন জানতে পারে যে আড়ংঘাটা থানাধীন তেলীগাতি বাইপাস মহাসড়কের পাশে রিপন ফকিরের মাছের ঘেরের পাশে একটি লাশ পড়ে আছে। এমন সংবাদ পেয়ে ভুক্তভোগী পরিবার সেখানে গিয়ে আ: রশিদের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ফারজানা বেগম অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ২৪ অক্টোবর আড়ংঘাটা থানায় মামলা দায়ের করেন।
এফপি/রাজ