আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতামলে সড়কে খুঁটি পেতে পাকা রাস্তার কার্যকারিতা নষ্টের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় প্র্রায় ১১ বছর পর খালাস পেয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কেন্দ্রীয় নিবাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক উপমন্ত্রী, জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুসহ ৭৫ জন নামীয় আসামি।
সোমবার দুপুরে লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদিব আলী মামলার সকল আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। এর আগে গত ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি ওই ঘটনা ঘটে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, বিএনপির ডাকা অবরোধ চলাকালে ওইদিন সকাল থেকে রংপুর–কুড়িগ্রাম মহাসড়কে লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের শিমুলতলা নামক মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা মহাসড়কে কুড়াল, সাবল, কোদাল ও খুন্তি ইত্যাদি ব্যবহার করে পাকা রাস্তায় খুঁটি পোতে এবং রাস্তা খোড়াখুড়ি করে ব্যারিকেট তৈরি করে।
এসময় রাস্তার পিচ উঠিয়ে পাকা রাস্তার দুই পাশের মাটি কাটায় রাস্তার কার্যকারিতা নষ্টসহ সরকারি সম্পদ নষ্টের অভিযোগ হয়। ওই অবরোধে নারী নেতাকর্মীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (৩) ধারায় মামলা করে।
মামলায় কেন্দ্রীয় বিএনপির কেন্দ্রীয় নিবাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক উপমন্ত্রী ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুসহ ৭৫ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৫০০/৫৫০ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
খালাস পেয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, এটি একটি গায়েবী ও ভূয়া মামলা ছিলো। আমাদের যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন ছিলো সেই আন্দোলনকে ব্যহত করার জন্য সরকার পরিকল্পিতভাবে এ সমস্ত মামলা দিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আজকে আমরা কোর্ট থেকে ন্যয় বিচার পেয়েছি। কোন ফ্যাসিবাদি সরকার মামলা দিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ঠেকিয়ে রাখতে পারে না। সেটার প্রমাণ হলো আজ।
এফপি/রাজ