নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী জীবন ছিনতাইকারীদের হাতে নিহত হওয়ায় হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৬ মে) এলাকাবাসীর আয়োজনে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়।
সকাল ১০টায় গাইবান্ধা শহরের নিউটন প্রিপারেটরি স্কুল থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি বাসস্ট্যান্ড থেকে ঘুরে ডি সি অফিসের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে তারা। সাড়ে ১১টার দিকে তারা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের সড়কে বসে ও দাঁড়িয়ে সড়ক অপরাধ করে।
পরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে দুপুর ১২টার দিকে কর্মসূচি তুলে নেওয়া হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন, আইনজীবী আনিস মোস্তফা ও মানিক মিয়া, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তারেকুজ্জামান, জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ফিহাদুর রহমান, গাইবান্ধা নিউটন প্রিপারেটরী স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুকমল চন্দ্র সরকার, শিক্ষার্থীদের পক্ষে মুহিদ মিয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, অবিলম্বে স্কুলছাত্র হামিম রহমান জীবনের হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। তাদেরকে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনতে হবে। মানববন্ধন থেকে বক্তারা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দেন।
তারা আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে গাইবান্ধায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। প্রায়ই খুন, ছিনতাই ও চুরির ঘটনা ঘটছে। সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার দক্ষিণ ধানঘড়া গ্রামের আনতাজ আলীর ছেলে হামিম রহমান ওরফে জীবন (১৭)। নিহত হামিম গাইবান্ধা নিউটন প্রিপারেটরি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। সে পড়াশোনার ফাঁকে অটোবাইক চালাতো।
হামিম গত রোববার সন্ধ্যায় অটোবাইক নিয়ে বের হয়। এরপর হামিমকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ফেসবুকের মাধ্যমে পরিবারের লোকজন জানতে পান, হামিম রহমানের মরদেহ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে। হাসপাতালে গিয়ে তারা হামিমের মরদেহ সনাক্ত করে।
এ ঘটনায় নিহত হামিম রহমানের বড় ভাই হামিদুর রহমান বাদি হয়ে সাঘাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় পাঁচ থেকে ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
এফপি/রাজ