প্রকৃতির এক অপরূপ রঙিন ছোঁয়ায় সেজেছে দৌলতদিয়া। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দুই পাশ জুড়ে এখন শুধু কৃষ্ণচূড়ার লালিমা। এই মহাসড়কে যাত্রী কিংবা পথচারী— সবার মন ছুঁয়ে যাচ্ছে কৃষ্ণচূড়ার শোভা। গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদও যেন এখানে এসে একটু শান্ত হয়।
গ্রীষ্ম এলেই প্রকৃতির এই প্রাণবন্ত রূপ দেখা যায় দৌলতদিয়ার রাজবাড়ী অংশজুড়ে। দীর্ঘ এই মহাসড়কের পাশে সারি সারি কৃষ্ণচূড়া গাছ যেন একটি প্রাকৃতিক টানেল তৈরি করেছে। কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙের ছায়ায় ঢাকা রাস্তাটি হয়ে উঠেছে দর্শনার্থীদের আকর্ষণ। কেউ কেউ থেমে মোবাইলে বন্দি করছেন প্রকৃতির এই অনন্য সৌন্দর্য, আবার কেউবা বই হাতে বসে যাচ্ছেন গাছতলায়।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. সামাদ শেখ বলেন, প্রতিবছর গ্রীষ্ম এলেই এই রাস্তার দৃশ্য বদলে যায়। কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো যেন আমাদের গর্ব। এখন অনেকেই এখানে এসে ছবি তোলে, ঘুরে বেড়ায়।
রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও গাছ রক্ষার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। পরিবেশবান্ধব ও পর্যটন সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই এসব গাছ লাগানো হয়েছিল বহু বছর আগে। বর্তমানে এটি স্থানীয় পর্যটনের একটি অন্যতম আকর্ষণ।
তবে স্থানীয়রা আরও কিছু দাবি তুলেছেন। অনেকেই বলছেন, গাছগুলোর পরিচর্যা আরও নিয়মিত হওয়া প্রয়োজন। রাস্তায় যেসব গাছ মারা গেছে, সেগুলোর জায়গায় নতুন চারা লাগালে শোভা আরও বাড়বে।
ঢাকা থেকে খুলনার দিকে যাত্রা করা অনেক যাত্রী বলেন, এই রাস্তায় কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য তাঁদের যাত্রার ক্লান্তি ভুলিয়ে দেয়।
দৌলতদিয়া-গোয়ালন্দ মহাসড়কের এই কৃষ্ণচূড়া পথ যেন শুধু একটি রাস্তা নয়, বরং একটি চলমান কবিতা। প্রকৃতির এই সৌন্দর্য রক্ষা ও উন্নয়নে সবার সচেতনতা ও যত্ন প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতেও এই পথ পথিকের মনে রঙ ছড়িয়ে দিতে পারে।
এফপি/এমআই