নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ইসলাম ধর্মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও দেশের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য হুমকিস্বরূপ বলে মন্তব্য করে প্রতিবেদনটি বাতিলের দাবি জানিয়েছে পটুয়াখালী জেলা ইমাম পরিষদ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সংবাদ সম্মেলনে জেলা ইমাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল কাদের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সম্প্রতি ‘নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন’ নামের একটি কমিটি ৩১৮ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর জমা দিয়েছে, যা দেশের ৯২% মুসলমানসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। প্রতিবেদনটিতে এমন কিছু সুপারিশ করা হয়েছে যা সরাসরি কুরআন-সুন্নাহর পরিপন্থী।
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, প্রতিবেদনে ‘সম্পত্তিতে নারী-পুরুষের সমান অধিকার’, ‘বহু বিবাহ প্রথা বিলুপ্তি’, ‘যৌনকর্মীদের শ্রমিক স্বীকৃতি’, ‘শরীর আমার, সিদ্ধান্ত আমার’ স্লোগানকে গ্রহণযোগ্যতা প্রদান, ধর্ম নারী উন্নয়নের পথে প্রধান বাঁধাগ্রস্থ এমন মতবাদ উপস্থাপন করা হয়েছে যা ইসলামি শরিয়তের মৌলিক বিধানের বিরোধিতা করে।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, ইসলাম নারীকে সম্মান দিয়েছে, অধিকার দিয়েছে তবে ধর্মীয় বিধানের বাইরে গিয়ে সমতা প্রতিষ্ঠা নয়, বরং ধর্মীয় মূল্যবোধকে সম্মান জানিয়ে সংস্কার হওয়া উচিত। যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি না দিয়ে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক। একই সঙ্গে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে সমাজ গঠনের পথেই আগাতে হবে।
সাংবাদ সম্মেলনে ইমাম পরিষদ দাবি জানায়, বিতর্কিত নারী সংস্কার কমিশন এবং তাদের প্রতিবেদন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। অন্যথায় দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ এটিকে মেনে নেবে না এবং জাতীয়ভাবে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে বলে তারা হুঁশিয়ারি দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি-আবু বকর সিদ্দিক, সদস্য- শাহ আলম, শহীদুল ইসলাম, মুহাঃ মোখলেসুর রহমান, মুফতি কাওসার আহমদ, মুহা তানভীরুল ইসলাম, শামীম আহমেদ, মুত্তাসির বিল্লাহ জুনাইদসহ পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের প্রিন্ট ও মিডিয়ার সাংবাদিক গণ উপস্থিত ছিলেন।
এফপি/রাজ