ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের ভুরভুরিয়া গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ফেরদৌসী আরা নামে এক নারীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে ভুরভুরিয়া পশ্চিম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) গণমাধ্যমের নজরে আসে।
ঘটনার পর ফেরদৌসী বেগমের স্বামী রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখ করে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় অভিযোগ করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, ভুরভুরিয়া গ্রামের রিপন মিয়ার স্ত্রী সামসুন নাহার, রিপন মিয়ার ছেলে আরাফাত আহম্মেদ।
থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে রফিকুল ইসলাম ও ফেরদৌসী বেগমের জমি দখল নিতে চেষ্টা করে। এতে বাধা দিলে তাদেরকে বিভিন্ন সময় গালমন্দ ও বাড়িতে এসে মারধর করে এবং প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। বিষয়টি সমাধানে একাধিক বার স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিরা সালিশ করে সমাধানে পৌঁছে তাদের জায়গা বুঝিয়ে দেয়। সালিশের সিন্ধান্ত না মেনে অভিযুক্ত সামসুন নাহার ও তার পরিবার ক্ষমতার দাপটে জায়গা দখল করতে আসে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২২ এপ্রিল বাড়িতে একা পেয়ে ফেরদৌসী বেগমের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা করে সামসুন নাহার। এ সময় ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয় ফেরদৌসীকে।
মাথায় দায়ের কোপে গুরুতর জখম ফেরদৌসীকে প্রথমে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
বিষয়টি নিয়ে ফেরদৌসী বেগমের ছেলে রায়হান ইসলাম বলেন, আমরা বাড়িতে না থাকার সুযোগে আমার মাকে কুপিয়ে হত্যা করতে চেয়েছিল প্রতিপক্ষ। আমার মায়ের অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক। কোনো ছেলে তার মায়ের এমন অবস্থা সহ্য করতে পারবে না। আমরা ও নিরাপত্তায়হীনতায় ভুগছি। যে কোনো সময় আবারও হামলা হতে। এর প্রতিকার চাই প্রশাসনের কাছে।
এ বিষয়ে ফেরদৌসী বেগমের স্বামী আজ শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল থেকে মুঠোফোনে জানান, আমার স্ত্রী কে একা পেয়ে কোপানো হয়েছে। সে এখন ঢাকার হাসপাতালে। আমি এর বিচার চাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সামসুন নাহারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। তদন্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এফপি/রাজ