নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কিশোরগঞ্জ কেসবা ফাজিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব মোজাফফর হোসেন বাদী হয়ে ওই দুজনকে আসামী করে নিয়মিত মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বড়ভিটা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অহিদুল ইসলামের ছেলে ও মাদ্রাসার সহকারী লাইব্রেরিয়ান মোজাহিদ ইসলাম ও অপরজন ওই মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্র রোকন মিয়া। সে জলঢাকা উপজেলার গাবরোল গ্রামের খাতবিুল ইসলামের ছেলে।
জানা গেছে, সোমবার মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সারাদেশের ন্যায় কিশোরগঞ্জ সরকারী ড্রিগী কলেজে দাখিল পরীক্ষার্থীদের বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা চলমান ছিল। পরীক্ষা শুরুর ১০ মিনিট আগে বড়ভিটা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের ছেলে ও ওই মাদ্রাসার সহকারী লাইব্রেরিয়ান মোজাহিদ ইসলাম ও মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্র রোকন মিয়া মোবাইল ফোনে প্রশ্ন পত্রের ছবি তুলে ওই মাদ্রাসার বাংলা বিষয়ের শিক্ষক মোজাহার ইসলামের কাছে নিয়ে গিয়ে প্রশ্নের উত্তর কারেকশন করে নিচ্ছিল। প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলা নিবার্হী অফিসার মৌসুমী হক ওই দুজনকে উপজেলা নিবার্হী অফিসারের কাযার্লয়ে ডেকে নেন।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার মৌসুমী হক বলেন, আমি বড়ভিটা ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী লাইব্রেরিয়ান ও ওই মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্র রোকন মিয়াকে আমার অফিসে ডেঁকে নিয়ে এসে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা প্রশ্ন ফাঁসের কথা আমার কাছে স্বীকার করেছেন। তাছাড়া আমাকে এক সংবাদকর্মী তাঁদের মোবাইলে থাকা প্রশপত্র এবং প্রশ্ন ফাঁসের সমস্ত ডকুমেন্ট দিয়েছে, যা আমার কাছে সংরক্ষিত আছে।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কিশোরগঞ্জ সরকারী ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব মোজাফফর হোসেন বাদী হয়ে ওই দুইজনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এফপি/এমআই