কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী–বাজিতপুর) সংসদীয় আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের প্রতিবাদে বাজিতপুর উপজেলার সরারচরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শেখ মুজিবুর রহমান ইকবালের সমর্থকরা।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেল তিনটার দিকে সরারচর শিবনাথ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি সরারচর বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সরারচর রেলগেটে এসে সংক্ষিপ্ত পথসভায় রূপ নেয়। জানা গেছে, (৪ ডিসেম্বর) কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান ইকবালের নাম ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে নিজের দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগ দেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা। একই দিনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষরে তাকে ওই আসনের নতুন মনোনয়ন দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ইকবাল সমর্থকরা বিক্ষোভে নামেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, সরারচর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. মহসিন মিয়া, উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মর্তুজা আলী জাহাঙ্গীর, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহরিয়ার শামীম, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক নিয়াজ মামুনুল পুটন, সরারচর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিটন ভুঁইয়া নিকলী উপজেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হৃদয় হাসান, নিকলী উপজেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আজহারুল ইসলাম সোহেল এবং উপজেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক শেখ রাফিদ রহমান উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আলী আহসান সবুজ।
পথসভায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাবেক সভাপতি। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি বাজিতপুর ও নিকলীর নেতাকর্মীদের পাশে বটগাছের মতো দাঁড়িয়ে আছেন। সুখ-দুঃখ, মামলা-হামলা, মসজিদ-মাদ্রাসা—সব ক্ষেত্রে তার ভূমিকা রয়েছে। তাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে মনোনয়ন দিলে বিএনপির অঙ্গসংগঠন তা মেনে নেবে না। এতে এই আসনে দল চরম ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।” তিনি আরও বলেন, “যতদিন পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমান ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়া না হবে, ততদিন আন্দোলন চলবে।” এ সময় আগামী কাল শনিবার বাজিতপুর বাজারে মশাল মিছিলের ঘোষণা দিয়ে নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান তিনি। বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে ছিল।
এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৃপ্তি মণ্ডল এবং বাজিতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম শহিদুল্লাহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কর্মসূচিটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং বর্তমানে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এফপি/জেএস