ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মাগুরার শালিখায় জনজীবন। হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও জেলার সড়কে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে।
টানা কয়েক দিনের তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন শিশু, নারী ও বয়স্করা। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে নিম্নআয়ের ও দুস্থ মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। একই সঙ্গে সর্দি, কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে এসব মানুষ বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন।
মাগুরা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় মাগুরায় সর্বমিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতভাগ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা জুড়ে শীতের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। ঘন কুয়াশার কারণে কাজের সন্ধানে বের হওয়া মানুষজনকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তীব্র শীতে সবজি ক্ষেত ও বীজতলা ক্ষতির আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
উপজেলার হোটেল শ্রমিক মোশাররফ হোসেন বলেন, সারারাত কনকনে ঠান্ডা থাকে, দিনের বেলাতেও একই অবস্থা। আমাদের মতো খেটে খাওয়া মানুষের কষ্টের শেষ নেই। কাজ না করলে সংসার চলে না, তাই বাধ্য হয়ে বের হতে হয়।
উপজেলার শতখালী গ্রামের কৃষিশ্রমিক আবু সাঈদ ও মহররম আলী বলেন, “কয়েক দিন ধরে এত ঠান্ডা যে কাজে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। হাত-পা বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে যায়। তবুও সংসারের কথা ভেবে কাজে বের হতে হচ্ছে।”
শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সাইমুম নেসা বলেন, শীতকালে শিশুদের সুরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। শিশুদের বাইরে বের হলে ধুলাবালি ও ঠান্ডা এড়িয়ে চলতে হবে। বিশেষ করে ঘন কুয়াশার মধ্যে শিশুদের বাইরে নেওয়া উচিত নয়।
এদিকে মাগুরা কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের যন্ত্রপাতি নষ্ট থাকায় মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য জানান মোঃ তাজুল ইসলাম, উপপরিচালক,মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, তিনি বলেন,আজ শুক্রবার সকাল ৬টায় মাগুরায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতভাগ। তিনি জানান, চলতি সপ্তাহে জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এফপি/জেএস