বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের করব জিয়ারতের উদ্দেশে বের হয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার সময় তিনি গুলশানের বাসা থেকে কবর জিয়ারতের উদ্দেশ বের হন।
শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে বাবার কবর জিয়ারতের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন তারেক রহমান।
এর আগে, দীর্ঘ ১৭ বছর পর বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে তারেক রহমান লন্ডন থেকে সিলেট হয়ে ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও একমাত্র মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান।
ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাকে স্বাগত জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। বিমানবন্দর থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও প্রটোকলে বুলেটপ্রুফ বাসে করে তিনি পূর্বাচল ৩০০ ফিট এলাকার সংবর্ধনা মঞ্চে পৌঁছান। এ সময় রাস্তার দুই ধারে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢল নামে। অনেকেই ১৭ বছর পর দেশে ফেরা তারেক রহমানকে এক নজর দেখার কৌতূহল নিয়ে এসেছিলেন, কেউবা প্রত্যাবর্তনের এই স্মরণীয় দিনে সাক্ষী হওয়ার জন্য উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলের সংবর্ধনা মঞ্চ পর্যন্ত পুরো পথ যেন এক লোকারণ্যে পরিণত হয়।
তারেক রহমানের আগমনকে ঘিরে সমাধিসৌধ এলাকায় ভিড় করেছে দলটির নেতাকর্মীরা। ইতোমধ্যে সেখানে পৌঁছেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারাও।
এদিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাজকীয় প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে জনগণ সাদরে গ্রহণ করে নিল তারেক রহমানকে। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে প্রত্যাশা করি।
আর তারেক রহমানের আগমনে নির্বাচনকেন্দ্রিক জটিলতাসহ দেশের সকল ধোঁয়াশা কেটে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
এফপি/জেএস