কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে অবৈধভাবে পুশইনের চেষ্টা চালিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে বিজিবির কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে ওই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সীমান্ত এলাকার আশ্রয়ণ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় পুশইনের চেষ্টা করে তারা।
পুশইনকৃত ব্যক্তিরা হলেন, ভারতীয় নাগরিক মৃত হারুন শেখের ছেলে শেখ জব্বার (৭০), তার চার ছেলে শেখ হাকিম (৪৫), শেখ ওকিল (৪০), শেখ রাজা (৩০) ও শেখ বান্টি (২৮), শেখ ওকিলের স্ত্রী শাবেরা বিবি (৩০), শেখ হাকিমের স্ত্রী শমশেরি বিবি (৪০), শেখ রাজার স্ত্রী মাইনু বিবি (২৫), শেখ জব্বারের স্ত্রী আলকনি বিবি (৬০), মৃত শেখ হোসেনের স্ত্রী গুলশান বিবি (৯০), শেখ ওকিলের মেয়ে শাকিলা খাতুন (১১), এবং শেখ রাজার সন্তান নাছরিন আক্তার (১২), শেখ তাওহিদ (১১) ও আড়াই বছর বয়সী শেখ রহিত।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, পরিস্থিতির প্রেক্ষিপ্তে বিএসএফের আহ্বানে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) এর অধীনস্থ মহিষকুন্ডি বিওপিতে কর্মরত সুবেদার মোঃ আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি বিজিবি দল এবং ১৪৬ বিএসএফ-এর নিউ উদয় কোম্পানি কমান্ডার এসি অনিল কুমারের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের বিএসএফ প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেন। বিকেলে আশ্রয়ণ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সীমান্ত মেইন পিলার ১৫৪/০৭ এস-এর নিকটবর্তী ভারতের অভ্যন্তরে অবস্থিত চাইডোবা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার বাংলাদেশে ভারতীয় নাগরিক পুশইনের ঘটনায় জোরালো প্রতিবাদ জানান এবং তাদের দ্রুত ফেরত নেওয়ার আহ্বান জানান। পরবর্তীতে শূন্য লাইনে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করা হলে তারা ভারতীয় নাগরিক হিসেবে প্রমাণিত হয়। এরপর বিএসএফ তাদের ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনি বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে ভারতীয় নাগরিকদের পুশইনের চেষ্টা করা হলে ৪৭ বিজিবির টহলরত সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে বাধা দেয়। পরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই নাগরিকদের ফেরত পাঠানো হয়।’
এফপি/জেএস